সুব্রত বিশ্বাস: বাঙালির বড় উৎসবের আগেই এপার বাংলা থেকে ওপার বাংলায় পাচার হচ্ছে শাড়ি, কসমেটিকস, মোবাইল ও বিলিতি মদ! বুধবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার গেদে স্টেশনে তিন ঘণ্টা ধরে ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেসে তল্লাশি চালায় বিএসএফ (BSF)। ট্রেনের প্রতিটি কামরায় হানা দিয়ে প্রায় ৫০ বস্তা শাড়ি, পঞ্চাশটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, প্রচুর কসমেটিকস ও মদ আটক করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এসব ঘটনা রুখতে কেন্দ্র ও রাজ্যকে সুপারিশ করতে চলেছে রেল।
বিএসএফ সূত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশগামী এই ট্রেনে প্রচুর দেশীয় সামগ্রী বিদেশে পাচার হচ্ছে। খবর পেয়ে সীমান্ত বাহিনী ট্রেনে হানা দেয়। প্রচুর সামগ্রী পাওয়া গেলেও পাচারকারীকে ধরতে পারেনি তদন্তকারীরা। দুজনকে সন্দেহের বশে ধরাও হয়েছে। ধৃতরা জানিয়েছে, টাকার বিনিময়ে তারা মাল পাচার করে। আটক সামগ্রী শুল্ক বিভাগের (Customs Department) হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ।
[আরও পড়ুন: Durga Puja 2023: পুজোর আগে যাত্রীদের জন্য সুখবর, সপ্তাহান্তে বাড়ছে মেট্রো পরিষেবা]
ভারত-বালংদেশের মধ্যে যাতায়াতকারী ট্রেনগুলি আগে বিএসএফ প্রহরায় থাকলেও এখন আরপিএফ ও জিআরপি পাহারা দেয়। কলকাতা (Kolkata) স্টেশনে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে শুল্ক বিভাগও চেকিংয়ে থাকে। বিএসএফ কর্তাদের কথায়, এত প্রশাসনিক বিভাগ থাকতেও ট্রেনগুলি পাচারের কেন্দ্র হওয়াটা খুব চিন্তার বিষয়। যদিও অন্য বিভাগ এনিয়ে কিছুই জানায়নি। ২০০৮ সালে দুই বাংলার ঐক্য বজায় রাখতে মৈত্রী এক্সপ্রেস (Maitree Express) চালু হয়। এরপর চালু হয় বন্ধন এক্সপ্রেস। কিন্তু দুই দেশের সংযোগকারী ট্রেন দুটি এখন পণ্য পাচারের মূল পরিবহন বলে মনে করেছে দুই দেশের একাধিক প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: পার্থর বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের চার্জশিট, অনুমোদন দিল রাজভবন]
বৈদেশিক আইন অমান্য করে চলছে পাচার (Smuggling) বলে অভিযোগ উঠেছে। বৈধ পাসপোর্ট ও ট্রেন যাত্রার সুবাধে পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। পয়সা দিয়ে কেরিয়ার নিযুক্ত করে মাল পাচার চলছে বলে অভিযোগ। রাজ্যের শুরুর স্টেশন কলকাতা স্টেশন এখন মূল করিডোর হওয়ায় চিন্তিত প্রশাসন। শুল্ক বিভাগ, আরপিএফ, জিআরপি উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিয়ে যাতে আরও তৎপর হতে পারে এজন্য কেন্দ্র ও রাজ্যকে সুপারিশ পাঠাচ্ছে রেল বলে যাব গিয়েছে।