শুভঙ্কর বসু: হাওড়া ও বালি পুরসভার পৃথকীকরণ বিলে এখনও সই করেননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ভুল স্বীকার করে কলকাতা হাই কোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। আজ, বুধবার সেই মামলার শুনানিতে তাঁর ক্ষমা মঞ্জুর করল আদালত। ফলে আদালতের ভুল তথ্য পেশের জন্য যে আইনি জটিলতার মধ্যে পড়তে হয়, তা থেকে অব্যাহতি পেলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।
কলকাতার পাশাপাশি হাওড়াতেও কেন পুরভোট হবে না? এই মর্মেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মৌসুমী রায়। সেই মামলাতেই গত বছর ২৪ ডিসেম্বর কলকাতা হাই কোর্টকে (Calcutta HC) রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়েছিলেন, হাওড়া ও বালি পুরসভার পৃথকীকরণ নিয়ে জট কেটেছে। কারণ, নানা টালবাহানার পর আটকে থাকা বিলে সই করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। আটকে থাকা পুরবিলে সই করায় স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের পথ মসৃণ বলেও দাবি করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। তবে তার পরেরদিন অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বরই টুইটারে অ্যাডভোকেট জেনারেলের পুরোপুরি বিপরীত অবস্থান নেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। টুইটে সাফ জানিয়ে দেন, এখনও পর্যন্ত হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিল বিবেচনাধীন। তিনি ওই বিলে সই করেননি।
[আরও পড়ুন: COVID-19 Vaccine: ভ্যাকসিনে অনীহা! কলকাতায় টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেননি অন্তত ৩ লক্ষ বাসিন্দা]
এরপর আদালতে নিজের ‘ভুল’ স্বীকার করে নেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। তিনি জানান, “রাজ্যপাল এখনও হাওড়ার বিলে সই করেননি। হাই কোর্টের সওয়ালে আমার ভুল ছিল। তাই আপাতত হাওড়ায় পুরভোট করা সম্ভব নয়।” পাশাপাশি এও জানান, রাজ্য নগরোন্নয়ন দপ্তরের সচিবের সঙ্গে তাঁর এনিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেই কারণেই আদালতের কাছে ভুল তথ্য পৌঁছায়। অবশেষে সেই ঘটনায় আদালত তাঁর ক্ষমা মঞ্জুর করায় স্বস্তি পেলেন তিনি।
এদিন অ্যাডভোকেট জেনারেলের নিঃশর্ত ক্ষমা মঞ্জুর করে কলকাতা হাই কোর্ট। সঙ্গে বিচারপতি জানান, নির্ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ করা হোক।