shono
Advertisement
CAPF recruitment

সরষের মধ্যেই ভূত! জাল নথিতে আধাসেনায় পাকিস্তানি নাগরিক! সিবিআইয়ের জালে চক্রের 'কিংপিন'

অভিযোগ,প্রশাসনিক কর্তার স্ট্যাম্প জাল করে বিপুল টাকার বিনিময়ে একাধিক ভুয়ো সার্টিফিকেট বানিয়েছে সে।
Published By: Paramita PaulPosted: 05:26 PM Feb 05, 2025Updated: 05:50 PM Feb 05, 2025

অর্ণব আইচ: ভুয়ো ডোমিসিল সার্টিফিকেট দিয়ে আধাসেনায় পাকিস্তানি নাগরিকদের চাকরি দেওয়ার অভিযোগে সিবিআইয়ের জালে 'কিংপিন'। অভিযোগ, উত্তর ২৪ পরগনার প্রশাসনিক কর্তার স্ট্যাম্প জাল করে বিপুল টাকার বিনিময়ে ডোমিসিল সার্টিফিকেট, শিক্ষাগত যোগ্যতার মতো একাধিক ভুয়ো বানিয়েছে সে। অবশেষে ৩১ জানুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনা থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর থেকে সিবিআই হেফাজতে ছিল সে। আজ, বুধবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে  দুদিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

ধৃতের নাম মহেশকুমার চৌধুরী। উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং স্টোর বিভাগে সেপাই পদে কর্মরত ছিল। ৩১ জানুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রের দাবি, আধাসেনায় চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে লক্ষ-লক্ষ টাকা তুলেছে। কখনও তা সরাসরি নেওয়া হয়েছে। কখনও আবার মিডলম্যানের মাধ্যমে টাকা তোলা হয়েছে। প্রশাসনিক কর্তার স্ট্যাম্প জাল করে ডোমিসিল সার্টিফিকেট থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটও জাল করা হয়েছে।

এদিন তাকে আদালতে তোলা হলে মহেশ চৌধুরীর স্ত্রীয়ের অসুস্থতার দোহাই দিয়ে জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। প্রশ্ন তোলেন, কারা নকল নথি দিয়ে চাকরি পেয়েছে তা এখনও আদালতে দেখাতে পারেনি সিবিআই। কোন পাকিস্তানি বা বাংলাদেশি নাগরিক সিএপিএফে চাকরি পেয়েছে, তাও দেখাতে পারেনি তদন্তকারীরা। আর জমি বিক্রি করে কোটি টাকা ঢুকেছে অ্যাকাউন্টে। পালটা সিবিআইয়ের আইনজীবীর দাবি, কোথা থেকে টাকা এসেছে, কোথায় টাকা গিয়েছে, কীভাবে গোটা চক্র পরিচালিত হয়েছে, তা জানা দরকার। তাই ধৃতকে হেফাজতে প্রয়োজন। দুপক্ষের সওয়াল জবাব শুনে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

জাতীয় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ভারতীয় সেনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পাক নাগরিকদের নিয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাংলার বারাকপুর ক্যাম্পেই দুই পাক নাগরিক কাজ করছে বলেও মামলাকারীর দাবি। কিন্তু কীভাবে নিয়োগ পেলেন তাঁরা?  রীতিমতো স্টাফ সিলেকশন কমিশনের পরীক্ষার মাধ্যমে এই নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ। এর পিছনে পুলিশ, প্রশাসনের একাংশের সহযোগিতা করেছে বলেও দাবি। অভিযোগ, পুলিশ-সহ প্রশাসনের একাধিক আধিকারিক জাল আবাসিক শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্র বানিয়ে দিয়ে সহযোগিতা করছে। তদন্তে নেমে মহেশ চৌধুরী ও রাজু গুপ্তার নাম উঠে আসে। মহেশকে গ্রেপ্তার করলেও রাজু এখনও বাইরেই। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ভুয়ো ডোমিসিল সার্টিফিকেট দিয়ে আধাসেনায় চাকরি দেওয়ার অভিযোগে সিবিআইয়ের জালে 'কিংপিন'।
  • অভিযোগ, উত্তর ২৪ পরগনার প্রশাসনিক কর্তার স্ট্যাম্প জাল করে বিপুল টাকার বিনিময়ে ডোমিসিল সার্টিফিকেট, শিক্ষাগত যোগ্যতার মতো একাধিক ভুয়ো বানিয়েছে সে।
  • অবশেষে ৩১ জানুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনা থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Advertisement