সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: আয় বহির্ভূত লাখ লাখ টাকা সম্পত্তি। এমনকী নির্বাচনী হলফনামায় যে সম্পত্তির কথা উল্লেখ করেছিলেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেপ্তার হওয়া তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA), তার চেয়েও ঢের ঢের বেশি সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। যা দেখে রীতিমতো চোখ কপালে তদন্তকারীদের। বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার নিজের ৮ টি অ্যাকাউন্ট আর স্ত্রী টগরীর ৩ ব্যাংক অ্যাকউন্ট রয়েছে। সিবিআই আধিকারিকদের হিসেব বলছে, তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩০০ কোটি ছাড়াতে পারে। তাঁকে গ্রেপ্তার করে চারদিনের হেফাজতে নেওয়ার পর এখন সিবিআইয়ের নজরে বিধায়কের এই বিপুল সম্পত্তি।
পেশায় তিনি স্কুলের শিক্ষক (Teacher)। কিন্তু বিধায়ক হওয়ার ‘সুবাদে’ই কখনও বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে (Jiban Krishna Saha) আর স্কুলে পড়াতে যেতে হত না। বরং মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলায় তিনি ব্যবসায় বেশি মন দিয়েছিলেন। রাইস মিল থেকে শুরু করে নামে-বেনামে প্রচুর জমি, সম্পত্তির হদিশ পায় সিবিআই। জীবনকৃষ্ণবাবু ও স্ত্রী টগরীর নামে ১১টি অ্যাকাউন্টে মোট ১ কোটি ১২ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬৩০ টাকার হদিশ পেয়েছে সিবিআই। এর মধ্যে আটটি অ্যাকাউন্ট জীবনকৃষ্ণের নিজের এবং তিনটি স্ত্রী টগরীর নামে। জীবনকৃষ্ণর একটি অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৪০ লক্ষ ৬ হাজার ৪১২ টাকা। তাঁর স্ত্রী টগরীর নামে রয়েছে ২৭ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩৪২ টাকা। মুর্শিদাবাদের বাইরে তিন জেলা তো বটেই, জেরা করে জামবনিতেও জমির খোঁজ পেয়েছেন বলে দাবি তদন্তকারীদের।
[আরও পড়ুন: গৃহযুদ্ধের সুদানে মৃত পেরল ২০০, সেনাপ্রধানকে ফোনে সংঘর্ষবিরতির বার্তা মার্কিন বিদেশসচিবের]
সূত্রের দাবি, জীবনের আয় বহির্ভূত সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। মিলেছে একাধিক এজেন্টের নাম, মোবাইল নম্বর সহ একাধিক তথ্যও। তাঁদের সঙ্গে জীবনের কীভাবে তথ্য ও টাকাপয়সা দেওয়া নেওয়া হত, আদৌ তা হত কি না সেই সংক্রান্ত তথ্যও জীবনকে জিজ্ঞাসাবাদে মিলেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের।
[আরও পড়ুন: মা হচ্ছেন ইলিয়ানা ডি’ক্রুজ! সন্তানের বাবা কে? সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে উঠছে প্রশ্ন]
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। কমিশনের কাছে পেশ করা হলফনামায় তিনি জানিয়েছিলেন বেসরকারি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪০ লক্ষের মতো টাকা রয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কুলি শাখায় অ্যাকাউন্টে রয়েছে ১৪,৬০,১০১ লক্ষ টাকা। বাকি একাধিক সেভিংস অ্যাকাউন্টগুলিতে আন্দির বেসরকারি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫ লক্ষ টাকা, ২৭,৭৬,৩৪২ লক্ষ টাকা, এছাড়াও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কোটাসুর ব্রাঞ্চ ৮,২৬,৫৬৯ লক্ষ টাকা রয়েছে। এছাড়াও পোস্ট অফিসে আরও ১৫ লক্ষ টাকা রয়েছে। নামে-বেনামে বহু সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।