সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের পরও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজিরা দেওয়ার কথা জানিয়ে সিবিআইয়ের (CBI) চিঠি নিয়ে সোমবার দিনভর কম জলঘোলা হয়নি। সেই চিঠির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে, রাজনৈতিক টার্গেটের অভিযোগে টুইট করেছিলেন স্বয়ং তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ফের চিঠি পাঠানো হল তাঁকে। তাতে অবশ্য নিজের ভুল শুধরে নিয়েছে সিবিআই। সংক্ষেপে জানানো হয়েছে, ১৭ তারিখ অর্থাৎ সোমবার যে চিঠিটি পাঠিয়ে তাঁকে হাজিরার কথা বলা হয়েছিল, তা আপাতত আর কার্যকরী নয়। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পরবর্তী নির্দেশ পর্যন্ত ওই চিঠি স্থগিত রাখা হচ্ছে।
শিক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত দলের সাসপেন্ডেড যুব নেতা কুন্তল ঘোষের মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম শুনে তাঁকে জেরা করা প্রয়োজন বলে আদালতে আবেদন করেছিল সিবিআই। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও সিবিআইয়ের সেই আবেদনকে সমর্থন জানান। তবে সুপ্রিম কোর্টে এ বিষয়ে একতরফা শুনানি রুখতে ক্যাভিয়েট দাখিল করেন মামলাকারীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেককে জেরার মামলায় স্থগিতাদেশ (Stay Order) দেয়।
[আরও পড়ুন: হাসফাঁস গরমে নিয়ন্ত্রণহীন এসি ব্যবহার, বিদ্যুৎ বিভ্রাট রাজ্যের বহু এলাকায়]
কিন্তু সোমবার সুপ্রিম কোর্টের এই স্থগিতাদেশের পরও দুপুরে অভিষেকের কাছে পৌঁছয় সিবিআইয়ের নোটিস। যাতে লেখা, তাঁকে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হবে। সেই নোটিস নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। অভিষেক নিজে এ নিয়ে টুইট করে অভিযোগ তোলেন, ”রাজনৈতিক উদ্দেশে হেনস্তা করার জন্য় এই নোটিস।” প্রশ্ন উঠে যায়, কেন সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের পরও হাজিরার নোটিস পাঠানো হল। এ বিষয়ে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ব্যাখ্যা দিয়ে জানিয়েছিলেন, এটা সিবিআইয়ের কোনও তদন্তের জন্য হাজিরা নয়। আদালতের রায়ের নিরিখে সামঞ্জস্য রেখে সেই নোটিস দেওয়া হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ‘বাবাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পিছনে বড় টাকার খেলা’, মুকুল উধাও কাণ্ডে ‘রহস্য’ দেখছেন শুভ্রাংশু]
এবার সিবিআই-ও সম্ভবত ভুল বুঝে তা শুধরে নিয়েছে। মঙ্গলবার ফের অভিষেককে চিঠি পাঠানো হল। সূত্রের খবর, চিঠিটি স্পিড পোস্টে নয়, হাতে হাতে পাঠানো হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের পর তা পৌঁছয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে। এছাড়া দিল্লির সিবিআই দপ্তরেও কলকাতার তরফে আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের বিষয়ে তাঁরা সময়মতো জানতে পারেননি। তাই এই বিভ্রাট।