স্টাফ রিপোর্টার: আশ্রয় চাইলে সাধ্যমতো তা দেবে বাংলা। ফের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস বা ‘ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্র্যান্ট ডে’-তে মুখ্যমন্ত্রীর টুইট, “শরণার্থীদের আশ্রয় দিতেই হবে। মানবিকতার খাতিরে এটা আমাদের বাধ্যবাধকতা। এই বাংলায় আমরা শরণার্থীদের যার যেমন প্রয়োজন তেমন আশ্রয় দেব। বাংলা তার সাধ্যমতো করবে।”
[মিলল না রথযাত্রার সমাধানসূত্র, রাজ্য-বিজেপি বৈঠকের ভিডিও ফুটেজ চাইল আদালত]
অসমে এনআরসি ইস্যুতে প্রথম থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব তৃণমূলনেত্রী। একাধিকবার বিভিন্ন সভা থেকে তিনি এ নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণও করেছেন। শুধু অসম থেকে বাঙালি খেদাও নয়, গুজরাত থেকে বিহারি বা উত্তরপ্রদেশেও মানুষকে তাড়ানোরও অভিযোগ তুলেছেন। এর আগেও একাধিকবার এই নিয়ে কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তা নিয়ে বিজেপিও পালটা সরব হয়েছিল। এমনকী, ক্ষমতায় এলে বাংলাতেও সেই একই ব্যবস্থা হবে বলে জানিয়েছে গেরুয়াশিবির। দিন কয়েক আগে অসমে যখন পাঁচজন বাঙালিকে খুন করেছিল জঙ্গিরা, তখনই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পড়শি রাজ্যের গিয়েছিলেন শাসকদলের সাংসদরা। প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস বা ‘ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্র্যান্ট ডে’-তেও ফের একবার বিজেপি নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বস্তুত, আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস বা ‘ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্র্যান্ট ডে’-ই শুধু নয়, ১৮ ডিসেম্বর তারিখটি সংখ্যালঘু অধিকার দিবসও বটে। সেই প্রসঙ্গেও একতার বার্তা দিয়েছেন মমতা। বলেছেন, “আমরা সবাই সমান এবং সেই সূত্রেই আমরা এক। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যই আমাদের সম্পদ।” এর পরই পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি জানান, ১ কোটি ৭ লক্ষ সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীকে স্কলারশিপ দিয়েছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার আবার ছিল সিঙ্গুরের তাপসী মালিকের মৃত্যুবার্ষিকীও। বামফ্রন্টের শাসনকালকে কাঠগড়ায় তুলে সমস্ত শহিদকে স্মরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “২০০৬- এর কৃষক আন্দোলনের সময় তাপসীকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারা হয়। ৩৪ বছরের বাম শাসনে প্রাণ হারানো সকল শহিদকে জানাই আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য।”
[ দেরিতে পৌঁছনোয় পরীক্ষায় বসা হল না, প্রতিবাদে আমরণ অনশনে মাও নেতা বিক্রম ]
The post আশ্রয় চাইলে বাংলা দেবে, অভিবাসী দিবসে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.