গৌতম ব্রহ্ম: রাজ্যের চিকিৎসক, নার্স এমনকী হাসপাতালের সুপারও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত কোনও স্বাস্থ্যকর্তাকে করোনার কবলে পড়তে হয়নি। এবার সেটাই হল। কলকাতার সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরের অন্যতম শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তার শরীরে মিলেছে ভাইরাস। তাঁকে ইতিমধ্যেই ভরতি করা হয়েছে বেলেঘাটা আইডিতে।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অস্ত্রভাণ্ডারেই এবার থাবা বসাল ভাইরাস। কারণ এই সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরেই মজুত থাকে পিপিই, মাস্ক, স্যানিটাইজার-সহ করোনা মোকাবিলার যাবতীয় সরঞ্জাম। এখান থেকেই বিভিন্ন হাসপাতাল, মেডিক্যাল স্টোরে পৌঁছে যায় এই সমস্ত সামগ্রী। আর এই অস্ত্রভাণ্ডারের দায়িত্বে থাকা অন্যতম শীর্ষকর্তাকেই এবার কাবু করল করোনা। তাঁর সঙ্গী ডিডিএইচএসকেও পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে।
[আরও পড়ুন: সংঘাত অব্যাহত, এবার রেশন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যকে বিঁধলেন রাজ্যপাল]
সম্প্রতি কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন ওই স্বাস্থ্যকর্তা, তার খোঁজ শুরু করে স্বাস্থ্যদপ্তর। এখনও পর্যন্ত ৪৬ জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যদিও সে সমস্ত রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। তবে আপাতত তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁরা রীতিমতো চিন্তায়।
দিন কয়েক আগে থেকেই জ্বর, সর্দি-কাশির মতো করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছিল তাঁর। পরীক্ষার পর সত্যিটা বেরিয়ে আসে। জানা যায়, করোনার জীবাণু প্রবেশ করেছে তাঁর শরীরে। বেলেঘাটা আইডিতে ভরতি ওই স্বাস্থ্যকর্তার অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, হাওড়া হাসপাতালের এক নার্স এবং মেটিয়াবুরুজের এক নার্সের শরীরেও করোনার হদিশ মিলেছে।
তবে এর মধ্যে স্বস্তির খবর হল, সুস্থ হয়ে উঠেছেন করোনা আক্রান্ত হাওড়া হাসপাতালের সুপার-সহ দুই চিকিৎসক। শনিবারই তাঁদের এমআর বাঙ্গুর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হল। তাঁদের ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: শ্বাসকষ্ট-জ্বর দেখলেই করোনা আতঙ্কে রোগী রেফার, চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ছে মৃত্যু]
The post এবার করোনার থাবা সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে, বেলেঘাটা আইডিতে ভরতি স্বাস্থ্যকর্তা appeared first on Sangbad Pratidin.
