সুব্রত বিশ্বাস: বাংলাদেশগামী ট্রেনে মদ আটক করা নিয়ে শুল্ক বিভাগের সঙ্গে আরপিএফের মতবিরোধ তুঙ্গে। শুল্ক বিভাগের (Customs Department) দাবি, ট্রেনে মদের ছাড় রয়েছে। পালটা আরপিএফ উপযুক্ত আইনি পরিস্থিতি জানতে চেয়েছে। এনিয়ে আগামী সপ্তাহে এই দুই বিভাগের প্রশাসনিক কর্তাদের বৈঠক হবে। পূর্ব রেলের আরপিএফের (RPF) আই জি পরম শিব বলেন, আইনি কী পদক্ষেপ রয়েছে, তা জানা দরকার। শুল্ক বিভাগ জানিয়েছে, বাংলাদেশের (Bangladesh) যাত্রীরা মাথা পিছু দু’লিটার মদ ট্রেনে নিয়ে যেতে পারেন। এর বাস্তবিক আইন সম্পর্কে তথ্য প্রমান দেখাবে শুল্ক বিভাগ। এজন্য আগামী সপ্তাহে বৈঠকও হবে।
কলকাতা স্টেশনে লাগেজ স্ক্যানারে মদের বোতল দেখে আরপিএফ তা সিজ করে। এরপরেই শুল্ক বিভাগ দাবি করে, এই কাজ বৈধ। এমনকী আরপিএফকে স্ক্যানারের আশেপাশে যেতে নিষেধ করে। দিন কয়েক ধরে এনিয়ে রীতিমতো আলোড়ন চলছে কলকাতা স্টেশনে। দিন কয়েক আগে বন্ধন এক্সপ্রেসের থেকে প্রচুর মদ আটক করেছে কলকাতা স্টেশনের আরপিএফ। সেগুলি খুলনাতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল পাচারকারীরা। এর পরেই শুরু হয় বিতন্ডা।
[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির মূল পাণ্ডা মানিক, সুপ্রিম কোর্টে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সিবিআইয়ের]
শুল্ক বিভাগ জানিয়েছে, বৈদেশিক বিষয়গুলি শুল্ক বিভাগের আওতায়। ফলে এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শুল্ক বিভাগই। খুব শিগগির বন্ধন ও মৈত্রী ভারত-বাংলাদেশের ট্রেনগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থার দায়িত্ব আসতে চলেছে আরপিএফের হাতে। এতকাল তা বিএসএফ দেখতো। ট্রেন দেখতে গিয়ে সীমান্তে সুরক্ষায় খামতি দেখা দিচ্ছে বলে কেন্দ্রের কাছে দায়িত্ব ছাড়ার আবেদন জানিয়েছে বিএসএফ। যা মঞ্জুর হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শুধু বাংলাদেশই নয়, বিহারেরও মদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর সেখানেও দেদার মদ পাচার হচ্ছে বলে আরপিএফ সূত্রে জানানো হয়েছে। পাচারের ক্ষেত্রে ট্রেনের এসি কামরাই ভরসা পাচারকারীদের। মঙ্গলবার গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেসে যাত্রী ভরত শাকে শিয়ালদহে আটক করে তার কাছ থেকে ১০০ বোতল বিলিতি মদ আটক করেছে শিয়ালদহের আরপিএফ। বিহারের সমস্তিপুরে এই মদ নিয়ে যাচ্ছিল ভরত।