shono
Advertisement

Breaking News

Cyclone Yaas: দিঘা পুনর্গঠনে ৩ দফায় কাজ, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা পেলেন সরকারি মোবাইল ভ্যান

দিঘা ও সুন্দরবনের জন্য দুটি মাস্টারপ্ল্যান ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Posted: 03:45 PM Jul 15, 2021Updated: 07:28 PM Jul 15, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় যশে (Yaas) তছনছ হয়ে যাওয়া দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর-সহ উপকূলীয় অঞ্চলগুলি পুনর্গঠনে আগেই ব্লু-প্রিন্ট ছকে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এবার দ্রুত তা সম্পন্ন করার জন্য তিন ধাপে কাজের কথা ঘোষণা করলেন তিনি। বৃহস্পতিবার তারই প্রথম ধাপ হিসেবে দিঘা সৈকতে ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে সম্পূর্ণ ধসে পড়া দোকানগুলি ফের চালুর জন্য ৫২ টি মোবাইল ভেন্ডিং কার তুলে দেওয়া হল ব্যবসায়ীদের। নবান্ন থেকে ভারচুয়ালি ব্যবসায়ীদের সেসব প্রদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক, মহকুমা শাসকের হাত থেকে সুসজ্জি, নতুন ভ্যানগুলি নিলেন ব্যবসায়ীরা। নতুন ভাবে ফের সৈকত পসরা সাজিয়ে তাঁরা বসতে পারবেন, সরকারি মোবাইল ভ্যান পেয়ে এই আশায় নতুন করে বুক বাঁধলেন তাঁরা।

Advertisement

মে মাসের শেষ সপ্তাহে ‘যশ’-এ বঙ্গের সাজানো সৈকত শহর সম্পূ্র্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কার্যত শ্মশানের স্তব্ধতা নেমে এসেছিল জমজমাট দিঘা (Digha), মন্দারমনি, তাজপুরের সৈকতে। দোকানপাট ভেসে গিয়েছে জলের স্রোতে, রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। ঘরবাড়ি হারিয়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের জন্য দ্রুততার সঙ্গে পুনর্গঠনের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার দ্রুত তিন ধাপে সেই কাজ করার কথা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম ধাপে যাতে ব্যবসায়ীরা ফের দ্রুত কাজে ফিরতে পারেন, তার জন্য ৫২ টি মোবাইল ভ্যান (Mobile van) প্রদানের উদ্বোধন করে দিলেন তিনি। পরবর্তী ধাপে আরও ৩০ টি প্রকল্প হবে। এছাড়া উপকূলবর্তী অঞ্চলকে ফের সাজিয়ে তুলতে দিঘা ও সুন্দরবন – এই দুটি মাস্টারপ্ল্যানের কথা ঘোষণা করলেন তিনি।

[আরও পড়ুন: কসবা ভুয়ো টিকা কাণ্ড: কলকাতা পুরসভাকে পাঁচ দফা প্রশ্ন পাঠাল SIT, দিতে হবে দ্রুত উত্তর]

এই মুহূর্ত যশে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে ‘দুয়ারে ত্রাণ’ দেওয়া চলছে। সেই কাজ কতটা এগিয়েছে, তা বোঝাতে মুখ্যমন্ত্রী পরিসংখ্য়ান দিলেন। জানালেন, এর মধ্যে ১৯.১ লক্ষ মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছেছে। এর জন্য ৩৬৪.৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান তিনি।  পাশাপাশি এই ত্রাণের খরচের কোনও সাহায্যই যে কেন্দ্রের থেকে পাওয়া যায়নি, সেই অভিযোগেও ফের সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী।  

[আরও পড়ুন: আয়ার ‘মারে’ সরকারি হাসপাতালে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ, দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস কর্তৃপক্ষের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement