সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় হারে ডিএ (DA)দেওয়ার দাবিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। দীর্ঘদিন ধরে ধর্মতলার শহিদ মিনারে তাঁদের আন্দোলন চলছে। মাস খানেক আগে তাঁরা অনশনও শুরু করেছিলেন। অনশনের জেরে দু, একজন আন্দোলনকারী অসুস্থও হয়ে পড়েন। সেসবের জেরে এবার অনশন (Hunger Strike) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন আন্দোলনকারীরা। শনিবার তাঁদের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, অনশন প্রত্যাহার করা হল, তবে আন্দোলন জারি থাকবে।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, ৪৪ দিন পর তাঁরা অনশন তুলে নিচ্ছেন। তবে বকেয়া ডিএ পাওয়ার দাবিতে আন্দোলন থেকে পিছু হঠছেন না তাঁরা। তা যেমন চলছিল, তেমনই চলবে। চলতি সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। ফের ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ডিএ মামলার। ফলে আন্দোলনের মেয়াদ বেড়েছে আরও।
[আরও পড়ুন: ‘খোঁজখবর রাখিস, মেয়েটা একা আছে’, অনুব্রতকন্যার দিকে নজর রাখার পরামর্শ মমতার]
এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীরা একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ায় জোর কমছিল। তাই আন্দোলনকে দুর্বল হতে না দিয়ে তড়িঘড়ি অনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। মঞ্চের এক সদস্য জানালেন, পরে আবার প্রয়োজনমতো অনশন শুরু হবে, তবে আপাতত তা তুলে নেওয়া হল। আগামী ২৯ ও ৩০ তারিখ আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরোধিতায় ধরনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। সেই বিষয় উল্লেখ করে আন্দোলনকারীদের খোঁচা, ”এরপর এখানে ধরনা শুরু হবে বার্গার, প্যাটিস, চা, চকলেট খেয়ে। আমরা তো না খেয়েই আন্দোলন করেছি।”
[আরও পড়ুন: অয়ন শীলের একাধিক ব্যাংক লকারের হদিশ, ইডি’র তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে স্ত্রী কাকলি]
শহিদ মিনারে ডিএ আন্দোলন মঞ্চকে কার্যত পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এখানেই দেখা গিয়েছে যুব কংগ্রেস (Congress) নেতা কৌস্তভ বাগচী, আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। নওশাদ এই মঞ্চে আক্রান্তও হন। কিন্তু তারপরও ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর পথ থেকে সরে আসেননি তাঁরা।