shono
Advertisement

শিক্ষার আলো! পুরনো বই দিয়েই দুস্থ শিশুদের পাঠদানে উদ্যোগী কলকাতা পুরসভা

মেয়র ফিরহাদ হাকিম এদিন নিজে প্রথম বই দান করেন।
Posted: 10:43 AM Sep 16, 2023Updated: 01:46 PM Sep 16, 2023

অভিরূপ দাস: পুরনো বইয়ের ঠিকানা আর জঞ্জালের বস্তায় নয়। তা দিয়ে দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের পড়াশোনার সংস্থান করবে কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) শিক্ষা বিভাগের নয়া উদ্যোগের নাম ‘চিল্ড্রেন্স বুক ডোনেশন ড্রাইভ।’ শহরের প্রতিটি বাড়ি থেকে নেওয়া হবে ছোটদের পুরনো গল্পের বই। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই উদ্যোগ চলবে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত।  

Advertisement

উদ্যোগের সূচনা করে মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Mayor Firhad Hakim) এদিন জানিয়েছেন, ‘‘শহরজুড়ে মডেল স্কুল তৈরি করেছে পুরসভা। এই সমস্ত পুর-স্কুলে অসংখ‌্য প্রান্তিক পরিবারের শিশুরা পড়ে। তাদের পক্ষে গল্পের বই কেনা সম্ভব নয়। আমাদের সবার বাড়িতে ছোটদের বই আছে। বাড়ির খুদেরা বড় হয়ে গেলে সে বইগুলো পড়েই থাকে। নতুন এই অভিনব উদ্যোগে সেই বইগুলো আপনারা দান করতে পারেন। কলকাতার নামীদামি স্কুলে যে সমস্ত বই দিয়ে পড়ানো হয় তা কেনার ক্ষমতা নেই প্রান্তিক পরিবারগুলোর। আপনাদের পুরনো বইগুলো দিলে তারাও পড়তে পারে।’’  

[আরও পড়ুন: শহরের ট্রাফিক সিগন্যালে হোক রাস্তা পারাপারের ঘোষণাও, চাইছেন ব্লাইন্ড স্কুলের পড়ুয়ারা]

মেয়র পারিষদ (শিক্ষা) সন্দীপন সাহা জানিয়েছেন, পুরনো বই কাজে আসবে দুঃস্থ শিশুদের। ১৪৪টি ওয়ার্ডে কলকাতা পুরসভার ২২৪টি স্কুল রয়েছে। কীভাবে দান করা যাবে বই? সরাসরি স্কুলে গিয়ে পুরনো বই দেওয়া যাবে। এছাড়াও এই উদ্যোগে দুটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে কলকাতা পুরসভা। ৯৩৩৯০ ৩৪৯৫৬ এবং ৯৮৩০১ ৯৬২৮০। এই দুই নম্বরে ফোন করলেও মিলবে বই জমা দেওয়ার সম্পূর্ণ তথ‌্য। কী কী বই জমা দেওয়া যাবে? পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, যেকোনও ধরনের পুরনো ক্লাসিক শিশুসাহিত্যের বই। ছবির বই, রূপকথার বই, পুরনো বর্ণপরিচয়, ইংরেজি অক্ষর শেখানোর বই ছাড়াও শিশু-কিশোরদের পুরনো গল্পের বই জমা দেওয়া যাবে। প্রতিটি স্কুলে থাকবে একটি ড্রপ বক্স।

কলকাতা পুর এলাকার বাসিন্দারা চাইলে নিজেরা সেখানে গিয়েও বই দিয়ে আসতে পারেন। কলকাতা পুরসভার অলিতে গলিতে লাগানো হচ্ছে চিল্ড্রেন্স বুক ডোনেশন ড্রাইভের পোস্টার। সেই পোস্টারে থাকবে একটি কিউআর কোড। সেই কোড স্ক‌্যান করলেও মিলবে শহরের ২২৪টি পুর স্কুলের হদিশ। পুরসভার ওয়েবসাইটেও প্রতিটি স্কুলের তালিকা রয়েছে। সেখান থেকেও ইচ্ছুকরা খুঁজে নিতে পারেন বাড়ির নিকটবর্তী স্কুলের ঠিকানা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম এদিন নিজে প্রথম বই দান করেন এই ড্রপ বক্সে।

[আরও পড়ুন: এবার মহালয়ার আগেই শুরু প্যান্ডেল হপিং! নামজাদা পুজো দেখা যাবে বিশেষ বাসে চেপে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement