অর্ণব আইচ: ভুয়ো পাসপোর্ট সংক্রান্ত ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে তথ্য নিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ইডি আধিকারিকরা জাল পাসপোর্ট সংক্রান্ত নথি পুলিশের কাছ থেকে নেয়। সেই নথিগুলি ইডি পরীক্ষা করা শুরু করেছে। যদিও ইডি এখনও মামলা দায়ের করেনি। নথিগুলি খতিয়ে দেখার পর মামলা দায়ের করতে পারে।
অভিযোগ, ভুয়ো নথিপত্রের মাধ্যমে জাল পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়ার একটি চক্র চলছে। দীর্ঘ দিন ধরে এই চক্র সক্রিয়। কলকাতা এবং শহরতলির একাধিক এলাকায় হানা দিয়ে সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করেছেন তদন্তকারীরা। একাধিক গ্রেপ্তারি হয়েছে শুধু উত্তর ২৪ পরগনা থেকেই। বাংলাদেশ অশান্ত হতেই বেড়েছে অনুপ্রবেশের আতঙ্ক। ফলে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে এসেছে পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের রমরমা। একজনকে গ্রেপ্তার করতেই হদিশ মিলেছে একাধিক অভিযুক্তের।
গত ১৫ ডিসেম্বর ভারতের ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করে পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় সমরেশ বিশ্বাস ও দীপক মণ্ডলকে। তাঁদের জেরা করেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হয় প্রচুর জাল নথি, এসবিআই ও ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের সিল, একাধিক ভারতীয় পাসপোর্টের ফটোকপি এবং ব্রিটেনের ভিসা। জানা গিয়েছে, শুধু এদেশে নয়, বাংলাদেশেও ছড়িয়ে জাল পাসপোর্টের কারবার।
ভুয়ো পাসপোর্ট চক্রের জাল যে অনেক গভীরে সেটা আগেই আন্দাজ করেছিল লালবাজার। যেহেতু এই ঘটনার সঙ্গে বিপুল আর্থিক লেনদেন জড়িয়ে, তাই ইডিও এ বিষয়ে তদন্তে আগ্রহী। কলকাতা পুলিশের কাছে তথ্য নিয়ে আপাতত পুরো বিষয়টি বুঝে নিতে চাইছেন ইডি কর্তারা। দরকার পড়লে আগামী দিনে মামলা দায়ের করতে পারে ইডি।