shono
Advertisement
Bratya Basu

ডিআই অফিসে গিয়েছিলেন কেন? লাঠিচার্জ নিয়ে পালটা প্রশ্ন ব্রাত্যর, চলতি সপ্তাহেই বৈঠক

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত বদল নিয়ে ব্রাত্যর বক্তব্য, "কেন এলেন না জানি না, দল বারণ করেছে কি না আমি জানি না।"
Published By: Subhajit MandalPosted: 03:45 PM Apr 09, 2025Updated: 07:44 PM Apr 09, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাকরি হারানোর প্রতিবাদ করতে গিয়ে মার খেতে হয়েছে চাকরিহারাদের! কেন লাঠি চালাল প্রশাসন? প্রশ্ন করতেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) পালটা প্রশ্ন তুলে দিলেন চাকরিপ্রার্থীদের ধৈর্য নিয়ে। ব্রাত্যর প্রশ্ন, রাজ্য সরকার যখন সবরকমভাবে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে, যখন কোনও শিক্ষকের বেতন বন্ধ হয়নি, বা কাউকে বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়নি, তখন ডিআই অফিস অভিযান কেন?

Advertisement

চাকরিহারাদের লাঠিচার্জ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বললেন, "পুলিশ-প্রশাসন কী করেছে বলতে পারব না। কিছু ঘটে থাকলে তা নিন্দনীয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও ডিআই অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন কী ছিল? কটা দিন আন্দোলন স্থগিত করা যেত না?" শিক্ষামন্ত্রী মনে করছেন, শিক্ষকদের ডিআই অফিস অভিযানের নেপথ্যে কারও উসকানি থাকতে পারে। সে উসকানি হতে পারে সংবাদমাধ্যমের, সে উসকানি হতে পারে রাজনৈতিক দলের। ব্রাত্য বলছেন, "এখনও পর্যন্ত কারও বেতন বন্ধ করা হয়নি। কোনও শিক্ষককে টার্মিনেশন লেটার দেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন জানিয়েছেন সর্বতভাবে চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন, তখন ডিআই অফিসে যাওয়ার প্রয়োজনটা কী?"

ব্রাত্যর বক্তব্য, ২৪ ঘণ্টা উসকানি থাকবে। ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা হবে। কিন্তু শিক্ষকদের ঠিক করতে হবে, তাঁরা সরকারের সঙ্গে থাকবে নাকি যারা উসকানি দিচ্ছে তাঁদের সঙ্গে থাকবে। ধ্বংসাত্মক আন্দোলন এবং আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। শিক্ষামন্ত্রী একাধিকবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, রাজ্য সরকার এবং শিক্ষাদপ্তর পুরোপুরি চাকরিহারাদের পাশে রয়েছে। সেটা চাকরিহারাদেরও বুঝতে হবে।

ব্রাত্যও জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহেই তাঁর নেতৃত্বে শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে চাকরিহারাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। অন্তত ওই বৈঠক পর্যন্ত তাঁদের ধৈর্য ধরা উচিত বলে মনে করেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, ‘‘এক দিকে বৈঠক, অন্য দিকে ধ্বংসাত্মক আন্দোলন, দুটো একসঙ্গে চলতে পারে না।’’

এদিন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। দাবি করেছিলেন, দরকারে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে যোগ্য অযোগ্য আলাদা করতে রাজ্য সরকারকে সাহায্য করতে চান তিনি। কিন্তু এদিন অভিজিৎবাবু আর ব্রাত্যর সঙ্গে দেখা করেননি। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য সরকার যেভাবে শিক্ষকদের উপর লাঠি চালাল তার পর আর সদিচ্ছা দেখানোর জায়গা নেই। এরপর অন্যরকম আন্দোলনের পথ দেখতে হবে। অভিজিতের সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত বদল নিয়ে ব্রাত্য বসু বললেন, "আমরা অপেক্ষা করেছিলাম। কেন এলেন না জানি না, দল বারণ করেছে কি না আমি জানি না। দপ্তরে উনি জানিয়েছেন।" ব্রাত্যর প্রশ্ন, "প্রতিবাদই যদি করতে হয়, তাহলে এসএসসি দপ্তরে গেলেন কেন? সেটাও তো সরকারি দপ্তর। সেখানেও না গেলে পারতেন।"

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • কেন লাঠি চালাল প্রশাসন? প্রশ্ন করতেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু পালটা প্রশ্ন তুলে দিলেন চাকরিপ্রার্থীদের ধৈর্য নিয়ে।
  • চাকরিহারাদের লাঠিচার্জ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বললেন, "পুলিশ-প্রশাসন কী করেছে বলতে পারব না। কিছু ঘটে থাকলে তা নিন্দনীয়।"
  • শিক্ষামন্ত্রী মনে করছেন, শিক্ষকদের ডিআই অফিস অভিযানের নেপথ্যে কারও উসকানি থাকতে পারে।
Advertisement