রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। তা সত্ত্বেও বঙ্গ বিজেপির অন্দরে আদি-নব্য কোন্দলে ইতি পড়েনি। ফরে বঙ্গে রাজ্যনেতাদের উপর আস্থা রাখতে পারছে না বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে কেন্দ্রে হ্যাটট্রিক হাঁকাতে এখন থেকেই স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। বাংলায় দাঁড়িয়ে লোকসভায় ৩৫ আসনের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ। সেই লক্ষ্যপূরণে এবার পেশাদার সংস্থার হাত ধরছে বিজেপি।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সাফল্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল প্রশান্ত কিশোরের আই-প্যাক। একইরকম ভাবে অতীতে একাধিক ভোট-রাজ্যে এমন বেসরকারি সংস্থার উপর নির্ভর করে নির্বাচনী ময়দানে নেমেছে বিজেপিও। বাংলাতেও চলেছে সমীক্ষা। তবে রাজ্যনেতাদের তথ্যে নির্ভর করে একুশে আশানরূপ ফল হয়নি। লোকসভা ভোটে সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি চায় না শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই শুধু শুভেন্দু-সুকান্তদের রিপোর্টের উপর আস্থা না রেখে এবার পুরোপুরি পেশাদার সংস্থার সাহায্য নিচ্ছে বঙ্গ বিজেপি (West Bengal BJP)। গেরুয়া শিবিরে কান পাতলে অন্তত তেমনটাই শোনা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, ভোটকুশলী সংস্থা জার্ভিস টেকনোলজি অ্যান্ড কনসাল্টিং প্রাইভেট লিমিটেড কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় নিজেদের সমীক্ষার কাজ শুরু করে দিয়েছে। যদিও এখনই বিষয়টিকে প্রকাশ্যে আনতে নারাজ রাজ্য নেতৃত্ব। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রতিটা রাজনৈতিক দলেরই নির্বাচনী লড়াইয়ের নিজস্ব কৌশল থাকে। সেটা দলের একেবারে অভ্যন্তরীণ বিষয়।
[আরও পড়ুন: পেলে-নেইমারের ব্রাজিলকে সাসপেন্ড করার হুমকি দিল ফিফা! কিন্তু কেন?]
মুম্বইয়ের সংস্থাটি মূলত পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করে। বিভিন্ন জেলায় পরিসংখ্যান পদ্মশিবিরের কাছে পৌঁছে দেবে তারা। সেই সঙ্গে কোন এলাকায় কোন বিষয়ে প্রচারে প্রাধান্য দিতে হবে, সেই বিষয় নিয়েও জরুরি পরামর্শ দেবে। কোন প্রার্থীকে কোন আসনের টিকিট দিলে উপকৃত হবে দল, কিংবা মোদি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে কোন এলাকার মানুষ বেশি লাভবান হয়েছেন, সেসব খুঁটিনাটি তথ্য়ও পাবে বিজেপি। ফলে সাফল্য পাওয়ার অঙ্ক কষতে অনেকটাই সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত যা খবর, এই সংস্থার সঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপির চুক্তি হয়েছে। দলের তরফে এর দায়িত্বে থাকছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল। বাংলার দায়িত্বও তাঁদের কাঁধে। আর সংস্থার তরফে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন সংস্থার কর্তা দিগ্গজ মোগরা।