কৃষ্ণকুমার দাস: মহানগরের (Kolkata) যে কোনও ওয়ার্ডে পুকুর (Pond) বা জলাশয় অবৈধ ভাবে ভরাট হলে, সংশ্লিষ্ট জোনের পুলিশ যদি ব্যবস্থা না নেয় তবে সেই থানার ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবে কলকাতা পুরসভা। সরাসরি পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগের তথ্য দেবেন পুর কমিশনার। জলাভূমি সংরক্ষণে মুখ্যমন্ত্রীর নীতি স্মরণ করিয়ে শনিবার পুরসভার তরফে এমনই কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্য প্রশাসক ও পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
তাঁর কথায়, “এলাকায় পুকুর ভরাট হচ্ছে, অথচ পুলিশ জানে না তা তো হয় না। বেআইনি বাড়ি থেকে পুকুর ভরাট বন্ধ করার দায়িত্ব আইন পুলিশকেই দিয়েছে। তাই থানার ওসিকেই সক্রিয় থাকতে হবে।” জলাভূমি সংরক্ষণ আইন ভেঙে যদি পুকুর ভরাট চলতে থাকে তবে সেই এলাকার পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে স্পষ্ট ঘোষণা মুখ্য প্রশাসকের। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন কলকাতা পুরসভার পুর কমিশনার। প্রয়োজনে তিনি এ বিষয়ে সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলবেন।
[আরও পড়ুন: সংযুক্ত মোর্চা স্রেফ নির্বাচনী জোট, দীর্ঘমেয়াদি নয়, বঙ্গ CPM-কে সাফ জানাল কেন্দ্রীয় কমিটি]
আসলে শহরে এক শ্রেণির প্রোমোটার পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশ করে পুকুর ভরাট চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। যে কোনো ধরনের অবৈধ কাজকর্ম রক্ষার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট এলাকার থানাগুলির হাতেই রয়েছে। তাই জলাভূমি ও পরিবেশ সংরক্ষণের দায়িত্ব পুলিশকেই নিতে হবে বলে এ দিন জানান ফিরহাদ।
বহুদিন ধরেই শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় জলাশয় ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে অসাধু প্রোমোটারদের বিরুদ্ধে। পরিবেশবাদীরা প্রতিবাদও করেছেন। কিন্তু প্রোমোটার চক্রের বাড়বাড়ন্তে এই ধরনের ঘটনা বেড়েছে বলেই অভিযোগ উঠছে। এমতাবস্থায় স্বয়ং পুর মুখ্য প্রশাসকের কড়া ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।