গৌতম ব্রহ্ম: নাগরিক পরিষেবা মসৃণ থেকে আরও মসৃণ করতে রাজ্য সরকারের বিশেষত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) উদ্যোগ প্রশংসিত আন্তর্জাতিক স্তরেও। এবার তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত চারটি প্রকল্প জাতীয় স্তরে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিল। এক বেসরকারি সংবাদ সংস্থা আয়োজিত প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার (Awards) এল বাংলার প্রকল্পগুলির ঝুলিতে। আগামী দিনে এসবই দেশের অন্যান্য রাজ্যের কাছে ‘মডেল’ হয়ে উঠতে পারে। বাংলার হাতে পুরস্কার তুলে দিয়ে এমনই মত জানালেন আয়োজকরা।
আগে একাধিক ‘স্কচ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন রাজ্য সরকারের বেশ কয়েকটি প্রকল্প। এবার আরও চারটি পুরস্কার মিলল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত চার প্রকল্পে –
- দুয়ারে ত্রাণ
- দুয়ারে সরকার
- মাইনর মিনারেল সাপ্লাই চেন ম্যানেজমেন্ট
- ই-আবগারি
প্রথমটি অর্থাৎ ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্প পুরস্কার পেয়েছে ‘অ্যানালিটিক্স’ বিভাগে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা এবং তার পরবর্তী সময়ে অনেকগুলি দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে, জিপিএসের (GPS) মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে জনপরিষেবা প্রদান করা হয়েছে এ রাজ্যে, তা প্রশংসনীয় বলে জানিয়েছেন পুরস্কারদাতারা। এই প্রকল্পে মোট ৩.৮ লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এই প্রকল্প আগামী দিনে দেশে ত্রাণবণ্টনের মডেল হয়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখছে বিশিষ্ট মহল।
[আরও পড়ুন: ‘কেষ্টা বেটাই চোর’, জন্মাষ্টমীতে ভাইরাল আমূলের বিজ্ঞাপন ঘিরে বিতর্ক, কী বলছে তৃণমূল?]
‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkaer) প্রকল্প গোড়া থেকেই বহুল প্রশংসিত। এই পরিষেবা বারবার রেকর্ড গড়েছে। বহু মানুষ চটজলদি সমাধান পেয়েছেন দুয়ারে সরকার শিবির থেকে। বলা হয়েছে, এতে উপকৃত হয়েছেন ৫ কোটি ৫০ মানুষ। ‘আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স’ (AI) বিভাগে সেরার পুরস্কার পেয়েছে এই জনপ্রিয় প্রকল্পটি।
[আরও পড়ুন: ‘টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা ও গাড়ি নেন অনুব্রত’, বিস্ফোরক সিউড়ির ব্যবসায়ী]
ই-আবগারি প্রকল্প থেকে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে প্রতি বছর। হিসেব বলছে, ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে আবগারি দপ্তর (Excise Department) থেকে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ৩৫৮১ কোটি টাকা। আর ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩,৫৪৩ কোটি টাকা। এই প্রকল্প যেভাবে সাধারণ মানুষের দুয়ারে পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে, তা প্রশংসনীয়। ‘ব্লক চেন’ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে ই-আবগারি বা স্টেট এক্সাইজ সাপ্লাই চেন ম্যানেজমেন্ট।