গোবিন্দ রায়: রাজ্যে সাম্প্রতিক চারটি ধর্ষণ মামলার পর এবার আরও একটি মামলার তদন্তভার পেলেন আইপিএস দময়ন্তী সেন (Damayanti Sen)। এবার নামখানায় গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনাতেও তাঁকে তদন্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। শুক্রবার এমনই জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এদিন নেত্রা, শান্তিনিকেতন, নামখানা, ময়নাগুড়ি, পিংলা – রাজ্যের এই পাঁচটি ধর্ষণ মামলায় এদিন হাই কোর্টের নির্দেশে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য সরকার।
ঘটনার সূত্রপাত চলতি মাসের ৯ তারিখ। নামখানা থানার পাতিবুনিয়া গ্রামের গৃহবধূ নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে শৌচালয়ে যাওয়ার পথে গণধর্ষণের (Gang Rape) শিকার হন। পুলিশের দাবি, নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, রাত তিনটে নাগাদ ঘুম ভেঙে বারান্দায় শৌচকর্ম করতে বেরিয়েছিলেন তিনি। সেইসময় চার-পাঁচজন এসে পিছন থেকে তাঁর মুখ বেঁধে গণধর্ষণ করে। পরে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে তাঁকে জ্বালিয়ে (Burnt)দেওয়ার চেষ্টাও হয়। জানা গিয়েছে, ঘর থেকে বধূর শ্বশুর বেরিয়ে আসাতেই অভিযুক্তরা চম্পট দেয়। বরাতজোড়ে প্রাণে রক্ষা পান ওই বধূ। তবে এই ঘটনা নিয়ে কারোর কাছে মুখ খুললে নির্যাতিতার ছেলে এবং মেয়েকে খুন করে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। এমনটাই দাবি নির্যাতিতার। এই ঘটনা যখন ঘটে সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না নির্যাতিতার স্বামী। কর্মসূত্রে তিনি অন্যত্র থাকতেন। পরে স্বামী বাড়ি ফিরলে সমস্ত ঘটনা জানান গৃহবধূ।
[আরও পড়ুন: হিজাব পরে পরীক্ষা দিতে কেন? পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতেই দেওয়া হল না দুই দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে]
এবার এই ঘটনার তদন্তভারও দময়ন্তী সেনের উপর দিল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, আইপিএস (IPS) অফিসার দময়ন্তী সেনের পর্যবেক্ষণেই এই তদন্ত হবে। পাশাপাশি, নির্যাতিতা, তার পরিবার এবং সাক্ষীদের নিরাপত্তার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। জানানো হয়েছে, তদন্তের অগ্রগতি খতিয়ে দেখে, তারপর সিবিআই তদন্তের আবেদন বিবেচনা করা হবে। এর আগে মাটিয়া, দেগঙ্গা, ইংরেজবাজার ও বাঁশদ্রোনি ধর্ষণ মামলার নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল লালবাজারের প্রাক্তন গোয়েন্দা অফিসার দময়ন্তী সেনকে দিয়েছিল আদালত।