গোবিন্দ রায়: গ্রুপ ডি (Group D) মামলার শুনানিতে ‘অবৈধ’ চাকরি প্রাপকদের ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সিবিআইকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের সরাসরি জিজ্ঞেস করুন কাকে টাকা দিয়েছে।” এদিকে ২০১৬ সালের প্রাথমিক নিয়োগে চাকরি প্রার্থীদের ইন্টারভিউ কারা নিয়েছিলেন তাঁদের নাম জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। একাধিক মামলা চলছে হাই কোর্টে। মঙ্গলবার গ্রুপ ডি মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এসলাসে। সেখানেই ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়াদের তীব্র কটাক্ষ করেন বিচারপতি। বলেন, “পড়ুয়াদের কথা না ভেবে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে, আবার আদালতে এসে কথা বলছে। ইয়ার্কি হচ্ছে?” সিবিআই আধিকারিকদের বলেন, “ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের সরাসরি জিজ্ঞাসা করুন যে টাকা কাকে দিয়েছেন? কাদের টাকা দিয়েছে জানতেই হবে সিবিআইকে।” এদিন বিচারপতি এসএসসিকে প্রশ্ন করেন, সব অবৈধ চাকরি প্রাপককে সরিয়ে দিলে কত দ্রুত সেই শূন্যপদে নিয়োগ সম্ভব? এদের সরাতে কেন নিজেরাই উদ্যোগী হচ্ছে না এসএসসি? পাশাপাশি গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া ৪৪৮৭ টি গ্রুপ – ডি’র ওএমআর শিট ৩১ জানুয়ারির মধ্যে প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: হিন্দু স্কুলের সরস্বতী পুজোয় ক্যানভাসে মাইকেল মধুসূদন দত্ত, ছাত্রদের তুলিতে মধুকবির জীবন আখ্যান]
এদিকে ২০১৬ সালের প্রাথমিক নিয়োগ মামলার শুনানিতে কারা চাকরি প্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন তাঁদের নাম জানতে চায় কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার ১৯ জন মামলাকারীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইন্টারভিউ যারা নিয়েছিলেন তাঁদের নাম মুখবন্ধ খামে জানাতে হবে পর্ষদ সভাপতিকে। এছাড়াও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট বলতে কী বোঝায়, তা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে জানাতে হবে পর্ষদকে। যেসব বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হল তাঁদের নামও মুখ বন্ধ খামে জমা দিতে হবে। ৬ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।