গোবিন্দ রায়: রামনবমী সংক্রান্ত মামলায় এনআইএ (NIA) তদন্ত ঠেকাতে মরিয়া রাজ্য। এরই মাঝে রামনবমী সংক্রান্ত মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। কারণ, সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছিল, এই মামলা শোনার এক্তিয়ারই নেই বিচারপতি ভট্টাচার্যের।
রামনবমী মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া ও ডালখোলা। অশান্তির রেশ ছিল কয়েকদিন। সেই অশান্তির ঘটনায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। সেই মামলায় রাজ্যের তরফে বলা হয়েছিল, রাজ্যের এই ঘটনায় কেন্ত্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কোনও প্রয়োজন নেই।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের আগে জয়ী ৪ বিরোধী প্রার্থীকে কলকাতা থেকে অপহরণ! কাঠগড়ায় তৃণমূল]
পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, কে বা কারা এই অশান্তিতে উসকানি দিয়েছে বা লাভবান হয়েছে, তা জানা রাজ্য পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সংস্থা প্রয়োজন। তদন্তভার নিতে প্রস্তুত বলেও আদালতে জানিয়েছিল এনআইএ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যায় রাজ্য। কিন্তু হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখে শীর্ষ আদালত।
রাজ্যের দাবি ছিল, রাজ্য পুলিশ সঠিক পথে তদন্ত করছে। সবক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে তদন্তভার গেলে রাজ্য পুলিশের মনোবল ধাক্কা খাবে। পালটা কেন্দ্রের দাবি ছিল, অশান্তিতে বোমা পড়েছে। আর এধরনের বিস্ফোরণের তদন্তে NIA সিদ্ধহস্ত। এরপরই রামনবমী অশান্তির তদন্তে রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় এনআইএ। এদিকে রামনবমী মামলায় এনআইএ তদন্ত ঠেকাতে মরিয়া রাজ্য। সুপ্রিমকোর্ট রাজ্যের এনআইএ বিরোধিতা সংক্রান্ত আবেদন খারিজ করার পরে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে এবার ফের একই আবেদন নিয়ে মামলা দায়ের করে রাজ্য। এদিকে কেন্দ্রের দাবি, এই মামলা শোনার এক্তিয়ারই নেই বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের। এরপরই মামলা ছাড়লেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। ফলে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে আবার রাজ্যের অসহযোগিতার মামলায় শুনানির মুখে পড়তে হবে রাজ্যকে।