সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যালকেমিস্ট কর্তা কে ডি সিংয়ের (K. D. Singh) গ্রেপ্তারির পর এবার ইডির নজরে নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের পুরনো বয়ান। সূত্রের খবর, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ম্যাথু স্যামুয়েলের নারদা স্টিং (Narda Sting) সংক্রান্ত বয়ান নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কে ডি সিংকে। সম্ভবত সেকারণেই ইডির কলকাতা দপ্তর ও সিবিআইয়ের কাছ থেকে নারদকাণ্ডে কে ডি সিং সংক্রান্ত ম্যাথু স্যামুয়েলের (Mathew Samuel) বয়ান রিপোর্ট আকারে চেয়ে পাঠিয়েছে দিল্লির ইডি দপ্তর।
প্রসঙ্গত, নারদকর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল এর আগে দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের (TMC) তৎকালীন রাজ্যসভার সাংসদ কে ডি সিংয়ের তহেলকার টাকাতেই তিনি নারদের স্টিং অপারেশনগুলি চালিয়েছিলেন। কে ডি সিংয়ের কলকাতার অফিস থেকে সেই টাকা নিয়েছিলেন ম্যাথু। সূত্রের খবর, সেই স্টিং অপারেশনে কত টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেই টাকা কে, কীভাবে দিয়েছিল, তা জানতে চায় ইডি। এছাড়াও, এখানে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠে আসছে। তৃণমূল সাংসদ থাকাকালীনই কে ডি সিং কেন দলের নেতাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করলেন? নারদ স্টিংয়ে টাকা ঢালার পিছনে তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল? কাকেই বা সুবিধা পাইয়ে দিতে চাইছিলেন তিনি? এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি ছিল কিনা? এসব নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। ইডি সূত্রের খবর, ম্যাথুর পুরনো বয়ানের প্রেক্ষিতেই এবার অ্যালকেমিস্ট কর্তাকে জেরা করতে চায় তারা। প্রসঙ্গত, নারদের ভিডিও সেসময় রাজ্য বিজেপির দপ্তর থেকে দেখানো হয়েছিল। এমনকী বিজেপির সরকারি ইউটিউব চ্যানেলেও তা আপলোড করা হয়। পরে বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত গেরুয়া শিবিরে শামিল হওয়ার পর তা ডিলিট করে দেয় বিজেপি।
[আরও পড়ুন: ‘পুলিশের ভয়ে তৃণমূলে থাকতে বাধ্য হন সকলে’, শতাব্দীকে বিজেপিতে স্বাগত জানালেন দিলীপ]
উল্লেখ্য, দুর্নীতির অভিযোগে গত ১৩ জানুয়ারি কে ডি সিংকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। আগামী শনিবার পর্যন্ত তিনি থাকবেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে। তার আগেই নারদ সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ সেরে ফেলতে চান ইডি কর্তারা। অ্যালকেমিস্টের আধিকারিক এবং রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে দেড়শো থেকে দু’শো কোটি টাকার বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে বিপুল পরিমাণ টাকা তিনি বিদেশে পাচার করেছেন বলেও অভিযোগ। কে ডি সিং একটা সময় তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও অনেক আগেই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এমনকী, তাঁকে দলে নেওয়াটা যে ‘ব্লান্ডার’ হয়েছিল, তা স্বীকার করে নেন খোদ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)।