স্টাফ রিপোর্টার: এ যেন গোদের ওপর বিষফোঁড়া। করোনা (Coronavirus) আতঙ্কের মধ্যে নতুন করে ভয় ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স। নাগরিকদের সচেতন করতে পথে নামছে কলকাতা পুরসভা। শহরে মাঙ্কিপক্স উপসর্গ রোগী আছে কি না, খুঁজতে বাড়ি বাড়ি যাবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। নয়া ভাইরাসকে মোকাবিলা করতে পুরসভার চিকিৎসকদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করেছে স্বাস্থ্য ভবন।
কোভিড মহামারী বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল ২০২০ সালে। এখনও করোনামুক্ত হয়নি বিশ্ব। এর মধ্যেই চোখ রাঙাচ্ছে মাঙ্কিপক্স (Monkeypox)। ভারতেও হানা দিয়েছে নতুন ভাইরাসটি। ইতিমধ্যে আরব আমিরশাহি ফেরত কেরলের এক বাসিন্দার মাঙ্কিপক্সে মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এছাড়া নতুন করে রাজস্থানেও একজনের শরীরে মিলেছে উপসর্গ। যদিও পূর্ব ভারতে এখনও এই ভাইরাসের হদিশ মেলেনি।
[আরও পডুন: ভয়ংকর কাণ্ড রাজস্থানে, তলোয়ার দিয়ে ৯ বছরের ভাইজির মাথা কেটে নিল নাবালিকা!]
তবে মাঙ্কিপক্স রুথতে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর আগেভাগেই সতর্ক হয়েছে। কলকাতা শহরের করোনা পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। বর্ষার সময় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ থাকে। তার মধ্যে দেশে মাঙ্কিপক্স হানা দেওয়াকে পুরসভাও (KMC) হালকাভাবে নিতে চাইছে না। বিশেষ করোনার অভিজ্ঞতার পর কোনওরকম খামতি রাখতে চায় না প্রশাসন। মাঙ্কিপক্স নিয়ে সোমবার পুরসভায় জরুরি বৈঠক হয়। বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্য অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা পল্লব ভট্টাচার্য, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ ও পুরসভা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। ডেপুটি মেয়র বলেন, ”এই মুহূর্তে কলকাতায় মাঙ্কিপক্সের কোনও খবর নেই। তবুও আমরা সচেতন থাকছি। জ্বর, গায়ে র্যাশ, ফোসকা – এই রকম উপসর্গ থাকলে পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীরাও বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই ধরনের রোগীদের চিহ্নিত করবেন।”
[আরও পডুন: ব্যাংকে টাকা তুলতে গিয়ে নিগ্রহের শিকার চিত্রশিল্পী! গড়িয়াহাট থানায় দায়ের অভিযোগ]
সেই সঙ্গে নয়া ভাইরাস নিয়ে সচেতন করতে ১৪৪টি ওয়ার্ডে মাইকিং, হোর্ডিং দিয়ে প্রচার করা হবে। নয়া ভাইরাস মোকাবিলা করতে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর কর্মশালা করে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেবে। সে জন্য বুধবার স্বাস্থ্যভবনে সমস্ত পুরসভাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। হাজির থাকবে ১৬টি বরোর চিকিৎসকরাও। কোভিড – ১৯ ছিল অজানা ভাইরাস। প্রথমদিকে, চিকিৎসক মহলে এই ভাইরাস নিয়ে কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। মাঙ্কিপক্স অবশ্য কোভিডের মত শক্তিশালী নয় বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। ডেপুটি মেয়রের বক্তব্য, মাঙ্কিপক্স নিয়ে শহরে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। করোনার প্রকোপও নেই। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।