অর্ণব আইচ: গার্ডেনরিচে (Garden Reach) বেআইনিভাবে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। ২৪ ঘণ্টা ধরে উদ্ধারকাজ চালানোর পরও সকলকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ফতেপুর ব্যানার্জি বাগান লেনের ওই বহুতল যে নিয়ম মেনে তৈরি হচ্ছিল না, তা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভা (KMC) মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরের আনাচেকানাচে এমন বেআইনি নির্মাণের বিপদ চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে গার্ডেনরিচের এই দুর্ঘটনা। আর এর পরইক কলকাতার থানাগুলিকে সতর্ক করল লালবাজার (Lalbazar)। সূত্রের খবর, শহরের প্রত্যেকটিল নির্মীয়মাণ বাড়ি, বহুতলে গিয়ে খোঁজ নিতে হবে যে সেগুলি আইন মেনে তৈরি হচ্ছে কি না। প্রয়োজনে প্রোমোটার বা নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা।
রবিবার মাঝরাতের দুর্ঘটনার পর কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police)সদর দপ্তরের তরফে কলকাতার থানাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। লালবাজারের কর্তাদের নির্দেশ, প্রত্যেকটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিতে হবে, সেগুলি আইন মেনে তৈরি হচ্ছে কি না। সেক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভার সাহায্য নেবে পুলিশ। কোথাও বেআইনি নির্মাণ হলে সেই প্রোমোটার (Promoter) বা ডেভেলপারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার।
[আরও পড়ুন: ‘আমাকে বাধ্য করবেন না’, নির্বাচনী বন্ড মামলায় SCBA প্রেসিডেন্টকে সাফ কথা প্রধান বিচারপতির]
এদিকে, সোমবার রাতে ফতেপুর ব্যানার্জি বাগান লেনের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারকাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের তা শুরু হওয়ার কথা। এদিনও এলাকা শুনশান। এত বড় বিপর্যয়ের ধাক্কা কাটাতে পারেননি কেউ। স্পর্শকাতর এলাকায় অশান্তি এড়াতে সকাল থেকেই মোতায়েন পুলিশ পিকেট। রয়েছে মেডিক্যাল টিম। সোমবারই এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে একটি টিম দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছে গিয়েছিল চিকিৎসার জন্য। আজও অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত রাখা হয়েছে। এখনও আটকে রয়েছেন যাঁরা, তাঁদের ক্রমাগত অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া আহতদেরও অক্সিজেন প্রয়োজন হতে পারে। এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, যে বহুতল ভেঙে পড়েছে, তার আশেপাশে বেশ কয়েকটি বাড়ি হেলে পড়েছে বিপজ্জনকভাবে। ফলে বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে আরও। বাড়ছে আতঙ্কও।