shono
Advertisement

SLST চাকরি জট নিয়ে সোমবার ‘বড় পদক্ষেপ’, হাই কোর্টে শুনানির পরই ইঙ্গিতপূর্ণ দাবি কুণালের

অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে ধন্যবাদও জানান কুণাল।
Posted: 02:50 PM Feb 07, 2024Updated: 06:03 PM Feb 07, 2024

গোবিন্দ রায়: SLST শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের আইনি জট কাটতে চলেছে। আগামী সোমবার এই নিয়োগ জট কাটার ব্যাপারে কোনও বড় পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, X হ্যান্ডলে এমনই দাবি করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে বুধবার এই মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলার শুনানির পর কুণালের টুইটে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু, অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তর পর গত রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন SLST কর্মপ্রার্থীরা। ওইদিন দুপুরে হেঁটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে গিয়ে তাঁর বাসভবনের সামনে পৌঁছন শারীরশিক্ষা-কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীরা। তবে তাঁরা কোনও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেননি। স্পেশাল ডিউটি অফিসারের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। তাঁদের কাছেই স্মারকলিপি জমা দেন। তৃণমূল ভবনে তাঁদের সঙ্গে বৈঠকও করেন কুণাল ঘোষ। সোমবার SLST চাকরিপ্রার্থীদের আইনি জট খোলার অনুরোধগুলি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের কাছে জানান কুণাল। হাই কোর্টে দুজনের বৈঠকের পর তৃণমূল নেতা জানান, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের চাকরির ব্যবস্থা করে দিলেও, অযোগ্যদের দিয়ে মামলা করিয়ে একাংশ বিরোধী আইনজীবী তা আটকে রেখেছেন।

[আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ের মহিলাকে লাগাতার ধর্ষণ, গরম ডাল ঢেলে সপ্তাহভর শারীরিক অত্যাচার ‘বন্ধু’র!]

বুধবারের শুনানির পর অ্যাডভোকেট জেনারেলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। X হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘‘মনে রাখুন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগের সব ব্যবস্থা করে দিলেও বিরোধীদের অন্যায্য মামলার জটে আটকে ছিলেন যোগ্যরা। আশা করি খুব শিগগিরই সবার মুখে হাসি ফুটবে। জট কাটার দিকে এগোচ্ছে।’’ আগামী সোমবার বড় পদক্ষেপের সম্ভাবনা বলেও দাবি করেন তিনি।

এদিকে, মেধাতালিকায় নাম রয়েছে অথচ চাকরি পাননি, এমন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ১৬ হাজার সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরি করেছে রাজ্য। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ওয়েটিং লিস্টে নাম থাকা চাকরিপ্রার্থীদের পাশাপাশি যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে তাঁরাও ওই তালিকার অন্তর্ভুক্ত। রাজ্যের এই নির্দেশ নিয়েই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সুপার নিউমারিক পোস্টের বিজ্ঞপ্তিতে কাদের চাকরি দেওয়ার কথা তা হলফনামা দিয়ে রাজ্য এবং এসএসসিকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, কেন তালিকায় রাখতে চায় রাজ্যকে তাও জানাতে হবে আদালতে। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, “শিক্ষকদের জন্য চিন্তিত নয় আদালত। কারণ, তারা চাকরি পাওয়ার জন্য লাফালাফি করবে। তার পর বলবে আমাকে বাড়ির কাছে বদলি দাও। আজকে উৎসশ্রী, কাল শুভশ্রী বলে আবেদন করবে। বেতন-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাবে। আসল কাজ পড়াবে না। সুতরাং, আমি শিক্ষকদের জন্য চিন্তিত নই। আমি পড়ুয়াদের জন্য চিন্তিত।” 

[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় নাবালিকাদের দিয়ে ম্যাসাজের টোপ দিয়ে মধুচক্র! পুলিশের জালে ২]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement