গৌতম ব্রহ্ম ও সুমিত বিশ্বাস: নবান্নের বৈঠকেও কাটল না কুড়মি আন্দোলনের জট (Kurmi Protest)। দু’ঘণ্টার বৈঠকেও অধরা রফাসূত্র। আদিবাসী কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিদের দাবি, তাঁদের দাবিদাওয়া মানার আশ্বাস দেয়নি রাজ্য সরকার। ফলে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা তাদের কেন্দ্রীয় কমিটি ঠিক করবে। খেমাশুলির টাটা-মুম্বই ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে যে অবস্থান চলছে, তার ভবিষ্যত ঠিক করতে মঙ্গলবার রাতে বৈঠকে বসবেন কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিরা।
এদিন দুপুর সাড়ে বারোটায় নবান্নে মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন কুড়মি সমাজের ৫ প্রতিনিধি। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কুড়মি সমাজ, পশ্চিমবঙ্গ সংগঠনের রাজ্য কমিটির সভাপতি রাজেশ মাহাতো, একই সংগঠনের রাজ্য় কমিটির আহ্বায়ক কৌশিক মাহাতো ও সদস্য অভিজিৎ মাহাতো। বাকি দু’জন দুই পৃথক সংগঠনের সদস্য- আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজের রাজ্য় সভাপতি শিবাজি মাহাতো এবং কুড়মি সেনার সদস্য সুদীপ মাহাতো। বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদের দাবি, “আমাদের দাবিদাওয়া রাজ্যকে জানিয়েছি। কিন্তু তা পূরণের আশ্বাস দেননি। ফলে এই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি।”
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি, হতাশ আন্দোলনকারীরা]
বৈঠকে কুড়মি সমাজের প্রতিনিধি রাজেশ মাহাতো জানিয়েছেন, “কেন্দ্রীয় আদিবাসী মন্ত্রক একাধিক সুনির্দিষ্ট মাপকাঠির ভিত্তিতে ২০১৭ সালে রাজ্যের কাছে কমেন্ট-জাস্টিফিকেশন চেয়েছিল সিআরআই রিপোর্টের উপর। ২০১৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত কোনও রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। ২০২৩-এর ৯ ফেব্রুয়ারি যে কমেন্ট-জাস্টিফিকেশন পাঠিয়েছে তাও পুরনো। ২০১৫ সালের। আমাদের দাবি ছিল, কমিটি গঠনের। কিন্তু সেকথা উনি শোনেননি।” তাঁদের আরও অভিযোগ, কেন্দ্রের তরফে বিশেষ কিছু বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল রাজ্যের কাছে। কিন্তু সেই প্রশ্নের জবাব রাজ্য দেয়নি বলেই দাবি কুড়মিদের।
এদিকে রেলপথ অবরোধ থেকে সরে এলেও খেমাশুলিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ চলছে। সেই কর্মসূচির ভবিষ্যত নিয়ে আজ রাতে বৈঠকে বসবে কুড়মিরা। এদিকে অবরোধ প্রসঙ্গ তৃণমূলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “আপনাদের আবেগ বুঝতে পারছি, আপনাদের পাশে আছি। কিন্তু এই রাস্তা, রেল অবরোধ করবেন না। এতে সাধারণ মানুষের সমস্যা হয়। আপনারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করুন, আমরা নৈতিকভাবে আপনাদের সঙ্গে আছি, থাকব।”
[আরও পড়ুন: আইনজীবী সঞ্জয় বসুকে জেরা করতে পারে ED, তদন্তে স্থগিতাদেশের নির্দেশ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে]