সুব্রত বিশ্বাস: রেলের উন্নয়ন ও যাত্রীদের কথা ভেবে একাধিক সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব রেলওয়ে। লালগোলা থেকে শিয়ালদহগামী মেমু ট্রেন চললেও এখন ইএমইউ ট্রেন চলছে। যে কোচে শৌচাগার নেই। ফলে অসুবিধায় পড়ছেন অনেক যাত্রী। সেই সমস্যার সমাধানে এবার রানাঘাটে পাঁচ থেকে দশ মিনিট দাঁড়াবে লালগোলা প্যাসেঞ্জার। পাশাপাশি, শিয়ালদহ থেকেও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর ভাবনা চললেও যে পরিকাঠামো দরকার তার কাজ অবিলম্বে শেষ করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জিএম। বিধাননগর স্টেশনের মান উন্নয়নের জন্য দুকোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার পূর্ব রেলের জিএম মিলিন্দ কে দেউসকর সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, লালগোলা থেকে শিয়ালদহগামী ইএমইউ ট্রেনগুলি এবার রানাঘাটে পাঁচ থেকে দশ মিনিট দাঁড়াবে। ওই সময়ের মধ্যে যাত্রীদের সারতে হবে শৌচকর্ম। ইএমইউ ট্রেনগুলিতে শৌচাগার নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় এনিয়ে অভিযোগ ওঠে। তা শুনে জিএম বলেন, "উন্নয়নের জন্য এই নতুন ইএমইউ ট্রেন চালু হয়েছে। ফলে বিকল্প কিছু করার নেই। তাই মাঝপথে রানাঘাটে ট্রেনগুলি বেশিক্ষণ দাঁড়াবে।" এই সিদ্ধান্তে অনেকযাত্রী নতুন করে ঝামেলার মুখে পড়বেন তা তারা মনে করলেও এনিয়ে রেল কিছু জানায়নি।
পাশাপাশি, শিয়ালদহ থেকেও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর ভাবনা রয়েছে রেলের। ফলে ট্রেন চালানোর জন্য যে পরিকাঠামো দরকার তার কাজ অবিলম্বে শেষ করতে চাইছে রেল। রবিবার শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে রেস্টুরেন্টে আগুন লাগা নিয়ে বলেন জিএম। সেই জন্য স্টেশনে জমা ময়লাকেই দায়ী করেছিল রেল। সে প্রসঙ্গের উল্লেখ না করেই দেউসকর এদিন জানান, স্টেশন, লাইনে ময়লার জন্য ট্রেন পরিচালনায় বেগ পেতে হচ্ছে। এজন্য যাত্রীদের সচেতন করেন তিনি।
এদিকে, হাওড়া চাঁদমারি ব্রিজটি নতুন করে তৈরির পর পুরনো ব্রিজের জায়গা বেরিয়ে এলে কারসেডের সংস্কার হবে। আমূল বদলে ফেলা হবে কারসেড। বাড়তি জায়গা পেলে হাওড়ার সাতটি প্ল্যাটফর্মকে সম্প্রসারিত করা হবে। যেখানে ২৪ কোচের ট্রেন দাঁড়াতে পারবে। সেগুলি ১, ৮ ও ১০ থেকে ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম। আগামী তিন মাসের মধ্যেই চালু হতে পারে ১৫ ও ২৪ নম্বর নতুন প্ল্যাটফর্ম।
ব্যান্ডেল স্টেশনকে স্যাটেলাইট স্টেশনে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। উন্নয়নের পরই সেখানে থেকে টার্মিন্যাল করে একাধিক শাখায় ট্রেন চলবে। দুর্ঘটনা এড়াতে 'কবচ' প্রযুক্তির ট্রায়াল শুরু হবে খুব শিগগিরই। আগামী তিন থেকে ছমাসের মধ্যেই দুরন্ত গতির ট্রেনগুলি ১৬০ কিলোমিটার গতিতে চলবে বলে জানান পূর্ব রেলের জিএম মিলিন্দ কে দেউসকর। লাইনধারে বেড়া দেওয়ার কাজ শেষ করার প্রস্তুতি চলছে। এজন্য মানুষজনের সহযোগিতা চান তিনি। মশাগ্রাম থেকে ট্রেন তাড়াতাড়ি চালানোর জন্য দক্ষিণ পূর্ব রেলের সঙ্গে সব রকমের চেষ্টা করছে পূর্ব রেল।