সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার নারীশক্তির প্রথম ধাপ কন্যাশ্রী। ক্ষমতায় আসার পর কন্যাশ্রী প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। আর তারপর থেকে ১৪ আগস্ট কন্যাশ্রী দিবস হিসাবে পালন করা হয়। বাংলার প্রত্যেক কন্যাশ্রীকে টুইটে শুভেচ্ছা জানালেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লেখেন, “বাংলার প্রত্যেক বালিকা, কিশোরীদের ক্ষমতায়নে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সূচনা। কন্যাশ্রী দিবসে প্রকল্পের আওতাভুক্ত প্রত্যেক বালিকা, কিশোরীকে শুভেচ্ছা জানাই।”
[আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্সি জেলে ঋষি অরবিন্দর সেলের সামনে মাথা নোয়ালেন পার্থ, কিছুক্ষণ সময় কাটানোর ইচ্ছাপ্রকাশ]
মেধা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র টাকার অভাবে বহু কিশোরীকে পড়াশোনা ছাড়তে হত। বহুক্ষেত্রেই দেখা যেত নাবালিকা অবস্থাতেই বিয়ের পিঁড়িতেও বসতে হচ্ছে তাদের। স্কুলছুট এবং নাবালিকা বিয়ে বন্ধ করে ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার বন্দোবস্ত করার লক্ষ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ২০১৩ সালে এই প্রকল্পের পথচলা শুরু। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা ছাত্রীরা প্রকল্পের মাধ্যমে বার্ষিক ১০০০ টাকা বৃত্তি এবং এককালীন ২৫ হাজার টাকা বৃত্তি পায়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পাওয়া টাকা উচ্চশিক্ষায় কাজে লাগাতে পারে ছাত্রীরা।
মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের কন্যাশ্রী প্রকল্প ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ২০১৭ সালের জুন মাসে ইউনাইটেড নেশনস থেকে সর্বোচ্চ জনসেবা পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছে কন্যাশ্রী। ৬২টি দেশের ৫৫২টি জনসেবামূলক প্রকল্পের মধ্যে সেরা পুরস্কার পায় কন্যাশ্রী। তার আগে ২০১৫ সালে স্কচ স্মার্ট গভর্নেন্স অ্যাওয়ার্ড পায় কন্যাশ্রী প্রকল্প। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের কন্যাশ্রী প্রকল্পের ঝুলিতে রয়েছে একাধিক পুরস্কারের সম্ভার। কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া যে উপকৃত হয়েছেন সে বিষয়ে কোনও সংশয় নেই।