সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার তদন্ত মামলায় সিবিআই (CBI) দপ্তরে যেতে পারলেন না রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক মানস ভুঁইঞা (Manas Bhunia)। রাতভর টানা বৃষ্টিতে তাঁর নিজের এলাকা পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেই কারণে তিনি কলকাতায় এসে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে পারছেন না বলে জানিয়ে দিলেন। সোমবার বেলা ১২টায় মানস ভুঁইঞাকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এর আগে ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থা আইকোর মামলায় রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। গত সপ্তাহে তাঁকেও সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল। সামনে ভবানীপুরে উপনির্বাচন (By-election)। সেই কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে পার্থবাবুও সিবিআই দপ্তরে যেতে পারেননি। কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়ি বা অফিসে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সহযোগিতা করবেন। সেইমতো নির্দিষ্ট সময়েও পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিজিও কমপ্লেক্সে না যাওয়ায় সিবিআই আধিকারিকরা জরুরি বৈঠকে বসে আশু কর্তব্য স্থির করেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কার্যালয় অর্থাৎ ক্যামাক স্ট্রিটের শিল্পভবনে গিয়ে তাঁকে ঘণ্টা দুয়েক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আইকোর সম্পর্কে।
[আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত প্রতিশোধের ‘অস্ত্র’ সাইবার অপরাধ, পরিসংখ্যান দিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করল NCRB]
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার মানস ভুঁইঞাকে নতুন করে জেরা করতে চেয়েছিল সিবিআই। ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়। সূত্রের খবর, আইকোরের অনুষ্ঠান মঞ্চে মানসবাবুকে দেখা গিয়েছিল। সেখানে বক্তব্যও রেখেছিলেন তিনি। সেই ভিডিও সিবিআইয়ের হাতে এসেছে। সংস্থাটি থেকে সবংয়ের বিধায়ক কোনও আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সূত্র ধরেই রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী তথা সবংয়ের তৃণমূল বিধায়ককে জেরা করতে চাইছে তারা।
[আরও পড়ুন: নকল চাবি তৈরি করে শিক্ষিকার বাড়ি থেকে গয়না-নগদ চুরি, চোর ধরিয়ে দিল CCTV ফুটেজ]
তবে রবিবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে সবংয়ে রীতিমতো বন্যা পরিস্থিতি। এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানস ভুঁইঞা সেখানে থেকেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছেন। তাই কলকাতায় এসে হাজিরা দিতে পারছেন না বলে সিবিআইকে জানিয়েছেন।
তবে পরবর্তী সময়ে সিবিআই আধিকারিকরা ধর্মতলায় খাদ্যভবনে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সূত্রের খবর, প্রায় দেড়ঘণ্টা ধরে তাঁকে আইকোর নিয়ে নানা প্রশ্ন করা হয়। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর জানতে চান সিবিআই তদন্তকারীরা।