ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পাখির চোখ নির্বাচন। তার আগে শাসকদলকে চাপে ফেলতে মরিয়া বিরোধী বিজেপি। বৃহস্পতিবার একাধিক ইস্যুতে নবান্ন (Nabanna) অভিযানের ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির। কোনও বাধা না মেনে গেরিলা কায়দায় নবান্ন অভিযান করা হবে বলেই চরম হুঁশিয়ারি নেতৃত্বের। কোমর বেঁধে তৈরি হচ্ছেন নেতাকর্মীরা। ঠিক এই পরিস্থিতিতে আগামী দু’দিন নবান্ন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে নবান্ন জীবাণুমুক্ত (sanitation) করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রতি সপ্তাহের শনিবার রুটিনমাফিক জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। তবে বুধবার জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার নবান্ন এবং রাইটার্স বিল্ডিং জীবাণুমুক্ত করা হবে। তাই এই দু’দিন বন্ধ রাখা হবে। কর্মীদের দু’দিন আসতেও বারণ করা হয়েছে। এদিকে, বৃহস্পতিবারই গেরুয়া শিবিরের নবান্ন অভিযান। বিজেপির নবান্ন অভিযানের সঙ্গে জীবাণুমুক্তকরণের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা, স্বাভাবিকভাবেই মাথাচাড়া দিচ্ছে সেই প্রশ্ন। যদিও এ বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বিজেপি নেতৃত্ব এ প্রসঙ্গে রাজ্য প্রশাসনকে একহাত নিয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, “বন্ধ হয়ে যাবেই আগামী বছর। নবান্ন বন্ধ করে পালিয়ে যেতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।” এছাড়া এদিন হাথরাস কাণ্ডেও নাম না করে শাসকদলকে খোঁচা দেন তিনি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। তারপরও রাজনীতি চলছে। যারা রাজনীতি করছে তাদের জুতোর মালা পরাতে হবে।”
[আরও পড়ুন: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর বাজেট বাড়াল কেন্দ্র, আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে কাজ]
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় চার জায়গা থেকে বিজেপির মিছিল শুরু হবে নবান্নের দিকে। বিজেপির রাজ্য দপ্তর থেকে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) নেতৃত্বে একটি মিছিল হবে। কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়ের নেতৃত্বে একটি মিছিল হবে হেস্টিংসে ফ্লাইওভারের নিচ থেকে। যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য নেতৃত্ব দেবেন হাওড়া ময়দান থেকে মিছিলটির। আর রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু-সহ অন্যরা সাঁতরাগাছি থেকে মিছিলটির নেতৃত্ব দেবেন। সব মিছিলের অভিমুখ হবে নবান্নের দিকে, এমনটাই বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে। শিল্প, কর্মসংস্থান, আইনশৃঙ্খলা-সহ একাধিক দাবিতে বিজেপির যুব মোর্চার এই নবান্ন অভিযান কর্মসূচি। যার সঙ্গে যোগ হবে টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনের ঘটনার ইস্যুও। বিধানসভা ভোটের আগে শাসকদলের উপর চাপ সৃষ্টি করতে শহরের রাজপথে ব্যাপক জমায়েত করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা যে গেরুয়া শিবির করবে তা রাজ্য নেতাদের বক্তব্যে স্পষ্ট। ফলে নবান্ন অভিযান ঘিরে অশান্তির আশঙ্কাও রয়েছে।