অর্ণব আইচ: কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় এনআইএ হানা। আল কায়েদা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্তদের খোঁজে সোমবারের এই তল্লাশি অভিযান বলেই খবর। তাৎপর্যপূর্ণভাবে কলকাতার বেনিয়াপুকুরের এক বাড়িতে হানা দেয় এনআইএ। এর পর প্রশ্ন উঠছে তবে কি ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সেই 'বেনিয়াপুকুর মডিউল' আবার সক্রিয় হচ্ছে কলকাতায়?
সূত্রের খবর, এদিন বেনিয়াপুকুরের ক্যান্টোফার লেনে একটি বাড়িতে হানা দেয় এনআইএ। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে তল্লাশি। পাশাপাশি বাড়ির মালিককে হাজিরা দেওয়ার নোটিশও দেওয়া হয়। তবে কেন এই তল্লাশি তা নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি আধিকারিকরা। সূত্রের দাবি, আল কায়েদার নেটওয়ার্ক শিঁকড় থেকে উপরে দিতেই দেশজুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে এনআইএ। এর মধ্যে কলকাতা, জলপাইগুড়ির হলদিবাড়িও রয়েছে।
বেনিয়াপুকুরে এনআইএ হানার পরই চর্চায় উঠে এসেছে মুজাহিদিনের 'বেনিয়াপুকুর মডিউল'-এর নাম। কী এই মডিউল?
ক্যান্টোফার লেনে থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে মফিদুল ইসলাম লেন। সেখানকার বাসিন্দা ছিল আমির রেজা খান। সে ছিল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সক্রিয় সদস্য। তার হাত ধরেই পূর্ব কলকাতার এই চত্বরে তৈরি হয়েছিল 'বেনিয়াপুকুর মডিউল।' যারা নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। কলকাতার আমেরিকান সেন্টারে হামলার পর শহর থেকে পাততারি গোটায় আমির। সূত্রের দাবি, সে ঘাঁটি বানায় পাকিস্তানে। ক্রমেই আন্তর্জাতিক জঙ্গি হয়ে ওঠে। সেখানে বসেই কলকাতার এই মডিউল পরিচালনা করত। তাকে সাহায্য করত বেনিয়াপুকুরেই এক বাসিন্দা। এলাকায় কান পাতলে শোনা যায়, সে আবার আমিরের তুতো ভাই ছিল।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গোয়েন্দা তৎপরতায় ভেঙে যায় মুজাহিদিন। শোনা যায়, আমির সিরিয়ায় গিয়ে আইসিসে যোগ দিয়েছিল। এদিকে 'বেনিয়াপুকুর মডিউলে'র সদস্যরা অন্যান্য সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের হয়ে কাজ করতে শুরু করে। গোয়েন্দাদের অনুমান, কেউ কেউ আল কায়েদায় যোগ দিয়েছে। সেই সূত্রে ধরেই এদিনের অভিযান বলে মনে করছে অনেকে।