shono
Advertisement

কাজ ফেলে রাখা যাবে না, অভিযোগ এলে ৭ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা! প্রশাসনিক বৈঠকে কড়া মুখ্যমন্ত্রী

পঞ্চায়েত স্তরে তৎপরতা বাড়াতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Posted: 05:07 PM Sep 07, 2022Updated: 06:27 PM Sep 07, 2022

গৌতম ব্রহ্ম: সরকারি কাজে কোনওরকম ঢিলেমি বরদাস্ত নয়। অভিযোগ এলে ৭ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে। নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জানিয়ে দিলেন, জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় পর্যন্ত, সব স্তরে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে হবে। অভিযোগ এলে ফেলে রাখা যাবে না।

Advertisement

বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections)৷ ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক স্তরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। হাতে খুব বেশি সময় নেই৷ নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গেলে আবার নতুন করে কাজকর্ম করার ক্ষেত্রে অসুবিধা হবে৷ তাই এ দিনের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বাকি থাকা কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আধিকারিকদের সর্বস্তরে তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্ন ও উত্তরপত্রের ধরন, ঘোষণা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের]

বুধবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের পাশাপাশি, জেলা শাসক এবং সব জেলার পদস্থ পুলিশ (West Bengal Police) আধিকারিকরা ছিলেন। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা, দ্রুত সব কাজ শেষ করতে হবে। কোনওরকম কোনও অভিযোগ পেলে সেটার প্রেক্ষিতে ৭ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সাফ বার্তা, কোনওরকম গাফিলতি, বা কাজে কোনওরকম ঢিলেমি করা যাবে না। সূত্রের খবর, এদিন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কাজকর্মেরও খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তর তো বটেই খোদ মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়কেও দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে বলা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘নিয়োগ কমিটির অনুমতি ছাড়া নিয়োগ নয়’, চাকরি নিয়ে ব্রাত্যকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী]

আসলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী সেকারণেই প্রশাসনিক স্তরে আরও স্বচ্ছতা চাইছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, পঞ্চায়েত স্তরে ১ লক্ষ টাকার বেশি যে কোনও কাজের ক্ষেত্রে ই-টেন্ডারিং বাধ্যতামূলক। সূত্রের খবর এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত স্তরের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্যের অভাবে বন্ধ হয়ে রয়েছে।  কিন্তু এই প্রকল্পগুলিকে বন্ধ করে রাখা যায় না। তাই বিকল্প পথে রাজস্ব বাড়াতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন, স্বচ্ছভাবে যেখানে রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব বাড়াতে হবে। শুধু জেলাশাসকদের নয়, রাজ্যের মন্ত্রীদেরও আলাদা করে লিখিতভাবে রাজস্ব প্রস্তাব জানাতে বলা হয়েছে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement