স্টাফ রিপোর্টার: মাধ্যমিকের মতোই উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্নপত্রেও থাকছে ‘কিউআর কোড’ অথবা ‘বারকোডে’র ফাঁদ। যে ফাঁদের আড়ালে লুকানো থাকবে নির্দিষ্ট প্রশ্নপত্রটির ‘ইউনিক সিরিয়াল নম্বর’। সেই ফাঁদে পা দিলেই ধরা পড়বে পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্র পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে বেরিয়ে এলে নির্দিষ্ট প্রশ্নপত্রটি কার, তা দপ্তরে বসেই চিহ্নিত করে ফেলবেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (WBCHSE) কর্তারা।
মঙ্গলবার পরীক্ষা প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “উচ্চমাধ্যমিকের ৬০টি বিষয়ের সব প্রশ্নপত্রেই সিরিয়াল নম্বর থাকবে। সঙ্গে কিউআর কোড বা বারকোডের মতো অতিরিক্ত কিছু ফিচার্সও। বিস্তারিত তথ্য থাকবে যে একটি নির্দিষ্ট সিরিয়াল নম্বরের প্রশ্নপত্র কোন জেলার, কোন পরীক্ষাকেন্দ্রের, কোন রুমে গিয়েছে। কোন পরীক্ষার্থী ওই প্রশ্নপত্রটি পেয়েছে তাও নথিভুক্ত থাকবে। সরাসরি পরীক্ষার্থীকে ট্র্যাকিং করা যাবে।”
[আরও পড়ুন: বিলকিস মামলায় সরকারকে ‘কুমন্তব্য’! সুপ্রিম রায়ের বিরোধিতায় শীর্ষ আদালতেই গুজরাট]
৪১৯টি কাস্টোডিয়ানের কাছ থেকে কোন পরীক্ষাকেন্দ্রে কত থেকে কত সিরিয়াল নম্বরের প্রশ্নপত্র যাচ্ছে, তা নথিভুক্ত থাকবে। ইনভিজিলেটররা কত থেকে কত সিরিয়াল নম্বরের প্রশ্ন নিয়ে রুমে যাচ্ছেন, তা ‘ভেন্যু সুপারভাইজার ফরম্যাটে’ নথিভুক্ত থাকবে। একজন পরীক্ষার্থী যে প্রশ্নপত্র পাবেন, তার ইউনিক সিরিয়াল নম্বরটি তাকে নিজের উত্তরপত্রের উপরে লিখতে হবে। এর মাধ্যমেই পরিচালিত হবে ট্র্যাকিং ব্যবস্থাটি। সঙ্গে প্রশ্নপত্রের অন্যান্য পাতাতে থাকবে কিউআর কোড বা বারকোডের ফাঁদ। সিসিটিভি, হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র (আরএফডি)-কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যপালের কনভয়ে ঢুকে পড়ল গাড়ি, শাহজাহানের চক্রান্ত! অভিযোগ রাজভবনের]
২ হাজার ৩৪১ পরীক্ষাকেন্দ্র। প্রত্যেকটির প্রবেশপথ ও ভেন্যু সুপারভাইজারের ঘরে (কনফিডেন্সিয়াল রুম) সিসিটিভি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৭৬টি পরীক্ষাকেন্দ্র স্পর্শকাতর এবার। মালদহতেই সব থেকে বেশি, মোট ৫৭। প্রতিটি জেলায় ৪-৫টি করে অতিরিক্ত মেটাল ডিটেক্টর দেওয়া হয়েছে। ২৫ জন পড়ুয়া পিছু একজন করে ইনভিজিলেটর, প্রতি ঘরে অন্ততপক্ষে দুজন করে ইনভিজিলেটর থাকবেন। একজন প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে রুমে আনবেন। অপরজন সকাল ৯টা ১৫ থেকে পরীক্ষার রুমে থাকবেন এবং সেই রুমে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশের আগে ফাইনাল চেকিং করে দেখে নেবেন, পরীক্ষার্থীদের কাছে কোনও মোবাইল বা বৈদ্যুতিন যন্ত্র নেই। ১৬ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার থেকে শুরু উচ্চমাধ্যমিক।