shono
Advertisement

ভেষজের মোড়কেই দেদার বিকোচ্ছে সাধারণ আবির! প্রতারণার শিকার আমজনতা

হাত দিয়ে ধরে বোঝার উপায় নেই কোনটা আসল আর কোনটা নকল।
Posted: 08:29 AM Mar 28, 2021Updated: 09:22 AM Mar 28, 2021

নব্যেন্দু হাজরা: ভেষজ আবিরের (Herbal gulal) নামে বাজার ছেয়েছে ভেজালে। হাত দিয়ে ধরে বোঝার উপায় নেই কোনটা আসল আর কোনটা নকল। ভেষজের মোড়কেই দেদার বিকোচ্ছে সাধারণ আবির (Gulal)। আর তাই সস্তায় কিনছেন ক্রেতারা। কিন্তু মন্দা বাজার এবারও। সেভাবে ভিড় নেই রং বা আবিরের দোকানে। সেভাবে বিকোচ্ছে না পিচকারিও। বিক্রেতারাও তাই হতাশ।

Advertisement

তাঁদের কথায়, করোনা সব শেষ করে দিল এবারও। ত্বকের যত্নের কথা ভেবে ভেষজেই আস্থা রাখতে আগ্রহী জেন ওয়াই। এমনিতেই করোনা আবহে রং খেলা থেকে অনেকেই নিজেদের বিরত রাখছেন এবারও। আর যাঁরা আবির বা রং খেলবেন বলে ভাবছেন তাঁরাও ভয় পাচ্ছেন রাসায়নিক মেশানো রঙে। কিন্তু উপায় নেই। দোকানদারের কথায় ভরসা করেই তাঁরা সেটাই কিনছেন। কারণ একটা প্যাকেটে ঢুকিয়েই ভেষজ আবিরের নাম করে বিকোচ্ছে সাধারণ আবির। ঠকছে আম আদমি।

[আরও পড়ুন : প্রথম দফায় ৯০% জায়গায় ভোট হয়েছে নির্বিঘ্নে, কমিশনকে ধন্যবাদ বিজেপি নেতাদের]

বিক্রেতাদের বক্তব্য, গতবারের মতো এবারও বাজার বেশ খারাপ। দোলের আগের বিকেলেও তেমন ভিড় দেখা গেল না জানবাজারের সারবদ্ধ রঙের দোকানে। সাজানো হরেক রঙের আবির। কিন্তু তেমন বিক্রি নেই। একশো গ্রাম প্যাকেট আবিরের দাম ২০ টাকা। আর খোলা আবির ১৫ টাকা। ২০ টাকার এই আবিরই অনেক ক্রেতাকে ভেষজ বলে বোকা বানাচ্ছেন বিক্রেতারা।

কিন্তু কীভাবে তৈরি হয় এই ভেজাল আবির? দোকানদাররাই জানাচ্ছেন, ভিন রাজ্য থেকে নিয়ে আসা হয় সস্তা পাউডার। সেই পাউডারের সঙ্গে রাসায়নিক মিশিয়ে তৈরি করা হয় রং-বেরঙের আবির। একাধিক জায়গায় রয়েছে এই ভেজাল রং এবং আবির তৈরির কারখানা। বিহার ও ভুটান থেকে নানা ধরনের পাথর গুঁড়ো করে তৈরি ট্যালকম পাউডার মাত্র চার—পাঁচ টাকা কেজি দরে কিনে আনা হয়। তারপর কারখানাগুলোতে লাল, সবুজ ও হলুদ রং মিশিয়ে তৈরি করা হয় বাহারি আবির। বিক্রির জন্য আবিরে নানা ধরনের সুগন্ধীও মেশানো হয়। তারপরই পাইকারি বাজারে ১৫—২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয় তা। আর খোলা বাজারে সেই আবির বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। আর তা বিক্রি হয় দেড়শো থেকে দু’শো টাকা কেজিতে।

[আরও পড়ুন : বানীপুরের ৬ ওয়ার্ডে বিজেপি-তৃণমূলের কড়া টক্কর, কিস্তিমাত করতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে ঘাসফুল শিবির]

রাসায়নিক যুক্ত আবির ব্যবহারের ফলে ত্বকের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলেই দোল উৎসবে নিজেদের রাঙিয়ে তুলতে ভেষজ আবির ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শহরের নামজাদা স্কিন স্পেশালিস্টদের কথায়, রং কিংবা আবিরে নানা রাসায়নিক থাকায় ত্বক পুড়ে যায়। ত্বকে কালো ছোপ ও দাগ দেখা যায়। অ্যালার্জিঘটিত রোগও দেখা দেয়। প্রস্তুতকারকরা বলেন, ‘‘দামি আবিরের চাহিদা কম থাকায় বাধ্য হয়েই আমরা নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে আবির তৈরি করি।’’ পলাশ, গাঁদা আর সবুজ অপরাজিতা। এই তিন ফুল থেকে সাধারণত ভেষজ আবির তৈরি হয়। কিন্তু ভেষজ এবং নকল আবির চেনার উপায়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভেষজ আবির হাতে নিলে বোঝা যাবে। কোনওরকম দানা থাকবে না। কারণ তা ট্যালকম পাউডার থেকে বানানো হয়। কিন্তু সাধারণ আবির হাতে নিলেই খসখস করবে। ত্বকে এই ধরনের আবির দিলে চুলকোবে। তাই কেনার সময় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement