অর্ণব আইচ: চিটফান্ডের নাম করে দু’হাজার কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে এবার দক্ষিণ কলকাতার এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালাল রাজ্য সরকারের ডিরেক্টরেট অফ ইকনমিক অফেন্স।
গত এপ্রিল মাসে এই প্রতারণার অভিযোগে বালিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার হন ব্যবসায়ী তথা চিটফান্ড (Chit Fund) কর্তা শান্তি সুরানা। সম্প্রতি ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও মেয়েকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের জেরা করে উঠে আসে ওই চিটফান্ডের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যবসায়ী অমরনাথ শরাফের নাম। ডিইওর অভিযোগ, ওই ব্যবসায়ীর মাধ্যমেও টাকা তোলা হয়েছে। মোটা সুদের টোপ দিয়ে কলকাতার বহু বাসিন্দার কাছ থেকে ২৫ লক্ষ থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা পর্যন্ত তোলা হয়। এক আমানতকারী ১১ কোটি টাকাও লগ্নি করেছিলেন। শান্তি সুরানাদের মূল টার্গেট ছিলেন প্রবীণরা।
[আরও পড়ুন: এবার সিবিআইয়ের নজরে অনুব্রতকন্যা, বাড়ি গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা]
২০০৭ সাল থেকে অন্তত ২০টি সংস্থাকে সামনে রেখে আমানতকারীদের কাছ থেকে বিপুল টাকা তোলা হয়েছিল। ওই সংস্থাগুলির মধ্য কয়েকটির সঙ্গে অমরনাথ শরাফ যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। এই ব্যাপারে তথ্য যাচাই করতে রবিবার সকালেই ডিইও আধিকারিকরা দক্ষিণ কলকাতার হরিশ মুখার্জি রোডে একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেন। ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবারের লোকেদের সামনে বেশ কিছু প্রশ্ন রেখে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তল্লাশি চালানো হয় ফ্ল্যাটের ঘরগুলিতে।
পুলিশের দাবি, ঘরগুলি থেকে উদ্ধার হয়েছে চিটফান্ড সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। সেই নথিগুলি খতিয়ে দেখে পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপ করবে। এই চিটফান্ডের কত টাকা এই ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্টে গিয়েছে, পুলিশ তা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে। পুলিশের কাছে আসা অভিযোগ অনুযায়ী, শরাফের মতো বহু ব্যবসায়ী ও তাঁদের এজেন্টদের মাধ্যমে টাকা তোলা হয়েছিল। ডিইও সেই তথ্য যাচাই করছে। চিটফান্ড সংস্থাটির সঙ্গে যুক্ত অন্য ব্যবসায়ীদেরও শনাক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।