সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটে সেতু বিপর্যয়ে মৃত্যুমিছিল। স্বজনহারাদের কান্নার শব্দে ভারী ঘটনাস্থল। কীভাবে এমন ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। এসবের মাঝে সেতু বিপর্যয়ে রাজনৈতিক আঙিনাও তোলপাড়। শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষের মধ্যে চলছে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি।
২০১৬ সালে ব্রিজ বিপর্যয়ের সাক্ষী হয়েছিল বাংলা। পোস্তায় ভেঙে পড়েছিল উড়ালপুলের একাংশ। সেই সময় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিল বিরোধী বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “এটা দুর্নীতির ভয়ানক রূপ। নির্বাচনের সময় কলকাতায় একটি ব্রিজ ভেঙে গিয়েছে। অনেকের মৃত্যু হয়েছে। আমাকে বলুন কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে প্রথমে কী করতে হয়? মরণাপন্নদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় করতে হয়। দিদি কী করলেন? ওখানে পৌঁছে প্রথমে বামেদের ঘাড়ে দোষ চাপালেন। ওরা বলছে এটা অ্যাক্ট অফ গড। এটা অ্যাক্ট অফ গড নয়, অ্যাক্ট অফ ফ্রড।” প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের অংশটিকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। সুখেন্দুশেখর রায় টুইট করেন, “সদ্য সংস্কার করা ব্রিজ দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে ১৩২ জনের। এবার আপনিও কয়েক ফোঁটা চোখের জল ফেলুন।”
[আরও পড়ুন: ‘চুপ করে থাকুন’, আলিপুর আদালতে ঢোকার পথে মেজাজ হারালেন পার্থ]
তার পালটা জবাব দিয়েছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, “যারা ঘোলা জলে মাছ ধরতে ভালবাসেন তারা ঘোলা জল খেতেও ভালবাসেন। তারাই বলেছিলেন কলকাতায় যান্ত্রিক গোলযোগে ফ্লাইওভার ভেঙে গিয়েছে। আবার তারাই আজ বলছেন ভিড়ের চাপে ঝুলন্ত ব্রিজ ভেঙে গিয়েছে। প্রশাসনকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত ছিল। যাদের মাথায় কাটমানি আছে, তারা সব জায়গায় কাটমানিই দেখেন। ওরা জানে না ব্রিজটা কবে তৈরি হয়েছে।”
গুজরাটের মোরবির ব্রিজ বিপর্যয়ের (Morbi bridge collapse) ঘটনায় সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করেছে কংগ্রেস। নির্বাচনী ফায়দা তুলতে দ্রুততার সঙ্গে ব্রিজ খুলে দেওয়ার জন্য এই বিপর্যয় বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব প্রদীপ ভট্টাচার্য।