সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চৈত্রেই ঠা ঠা গরম। বেলা বাড়তেই প্রাণ ওষ্ঠাগত। আপাতত স্বস্তির আভাস নেই। এমন পরিস্থিতি সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলির সময়সূচি পরিবর্তন করা হতে পারে। এমনই চর্চা শুরু হয়েছে। স্কুলের সময় পরিবর্তন করা যায় কি না, এ নিয়ে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা পড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। স্কুল শিক্ষাদপ্তরে জমা পড়বে সেই রিপোর্ট। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

রাজ্যের অধিকাংশ প্রাথমিক স্কুল বেলার দিকে শুরু হয়। কিন্তু প্রচণ্ড গরমে সেই সময় এগিয়ে আনা যায় কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অর্থাৎ বেলার বদলে সকালে স্কুল শুরু করা যায় কি না তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। চাওয়া হয়েছে রিপোর্টও। এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেন,"বিভিন্ন জেলার ডিপিএসসি চেয়ারম্যানদের থেকে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছি। তাঁরা উত্তর দিলে আমরা স্কুল শিক্ষাদপ্তরকে তা পাঠিয়ে দেব। তারাই প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে। আশা করছি, মঙ্গলবারের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হবে।"
রবিবারও দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পশ্চিম বর্ধমানে আগামী ২৪ ঘন্টায়েও তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি থাকবে। তবে সব জেলাতেই ‘হট ডে’ পরিস্থিতি। সুতরাং ইদও কাটবে গরমে। স্বাভাবিকের তুলনায় তাপমাত্রা তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে। পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের। ইতিমধ্যে ৪০ ডিগ্রি পেরিয়েছে একাধিক এলাকার। এরমধ্যে কলকাতা ঘেঁষা দমদমও রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে খুদে পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে স্কুল টাইম এগিয়ে নিয়ে আসার বিষয় ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।