'মানবিকতা বলেও কি কিছু নেই, আমাদের কী হবে?', এবার ধরনার পথে 'যোগ্য' চাকরিহারারা

06:21 PM Apr 23, 2024 | Subhajit Mandal
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলমের এক খোঁচায় সব বদলে গিয়েছে। দুদিন আগে পর্যন্ত যাঁরা সসম্মানে শিক্ষকতা করছিলেন, তাঁরা আজ কর্মহীন। বুকে চাকরি হারানোর যন্ত্রণা আর হাতে যোগ্যতার প্রমাণ (OMR শিট) নিয়ে শহরের বুকে এবার ধরনায় বসতে চলেছেন 'যোগ্য' অথচ চাকরিহারারা।

Advertisement

ধর্মতলা চত্বর এর আগে চাকরির দাবিতে ধরনা দেখেছে। এবার চাকরি বাঁচানোর জন্য লড়াই দেখবে। সোমবার হাই কোর্টের রায়ে যে ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষক কর্মহীন হয়েছেন, তাঁদের একটা অংশ মঙ্গলবার সকাল থেকেই জোড়ো হওয়া শুরু করেছেন শহিদ মিনার চত্বরে। বেলা গড়াতে গড়াতে সংখ্যাটা কয়েক হাজারে পরিণত হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ধর্নায় বসে নিজেদের প্রতিবাদ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আদালতের দ্বারস্থও হওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) নিজেদের মতো এসএলপি (SLP) দাখিল করতে চলেছেন চাকরিহারারা। সূত্রের খবর, হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে কমিশন। আবার মূল মামলাকারীরাও শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন।

[আরও পড়ুন: চরম গরমে প্রিয় পোষ্যকে সুস্থ রাখবেন কীভাবে? রইল সহজ কিছু টিপস]

চাকরিহারাদের বক্তব্য, আদালতের রায়ে যে সব যোগ্য শিক্ষকেরা চাকরি হারালেন তাদের কী হবে। মানবিক দিক থেকেও কী ব্যাপারটা ভেবে দেখা যেত না! যারা চাকরি হারালেন, তাঁদের অনেকের কর্মজীবনের সবে শুরু। তাঁদের ভবিষ্যৎ কী? কয়েকজন অযোগ্য, অসৎ মানুষের জন্য হাজার হাজার পরিবার কেন শাস্তি পাবে? এক চাকরিহারার প্রশ্ন, "আমাদের হয়ে ভাবার কী কেউ নেই? আইনের এমন কী কোনও ধারা নেই, যারা মানবিক দিকটা ভাবে? আমাদের দোষটা কী?"

[আরও পড়ুন: কত টাকায় লড়েছিলেন জীবনের প্রথম মামলা? গোপন তথ্য ফাঁস প্রধান বিচারপতির]

আরেক 'যোগ্য' চাকরিহারা বলছেন, "অযোগ্যদের জন্য আমাদের ভুগতে হবে কেন? অযোগ্যরা চুলোয় যাক। কমিশন আদালতকে তথ্য দেয়নি, তার দায় আমরা কেন নেব? সেটার শাস্তি আমাদের কেন নিতে হবে? রিপ্যানেল হলেও যাতে যোগ্যরা চাকরি পায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।" আরেক চাকরিপ্রার্থীর প্রশ্ন, "আমাদের বিচারব্যবস্থা তো বলে, একজন যোগ্যও যেন বঞ্চিত না হয়, তাহলে এত হাজার হাজার যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত হতে হবে?"

Advertisement