সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসএসসির গ্রুপ সি (SSC Group C) নিয়োগে দুর্নীতির বহর দেখে চক্ষু চড়কগাছ! কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ‘অবৈধ’ নিয়োগের তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি। তাতে দেখা যায়, প্রকাশিত তালিকায় ৩ হাজার ৪৭৮ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৩০ জনের নম্বর দেদার বাড়ানো হয়েছে। কারও কারও তো ১ থেকে নম্বর বেড়ে হয়েছে ৫২। কারও আবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭। তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ সকলের।
জানা গিয়েছে, ওএমআর শিটের নম্বর সার্ভারে তোলার সময় গরমিল করা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওএমআর শিটে থাকা শূন্য, এক-দুই নম্বর সার্ভারে হয়েছে ৫৩-৫৪ কিংবা ৫৭। শুধুমাত্র চাকরি প্রাপকরা নয়, ওয়েটিং লিস্টে থাকা অনেকের নম্বরই এভাবে বাড়ানো হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার ৩০ জনের নম্বরে গরমিল করা হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে এসএসসি। আবার ৮৬ জনের নম্বর ইচ্ছাকৃত কমানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম ‘গণহত্যা দিবসে’ শুভেন্দুকে সভার অনুমতি দিল হাই কোর্ট, রয়েছে একাধিক শর্ত]
উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সালে গ্রুপ সি’তে মোট ২০৩৭ জনকে নিয়োগ করা হয়। তাঁদের মধ্যে ৭৮৫ জনের চাকরি বাতিল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শনিবার তাঁদের সুপারিশপত্র বাতিল করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। নিয়োগপত্র বাতিল করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বিচারপতির নির্দেশ অনুযায়ী, সদ্য চাকরিহারা ৮৪২ জনের কেউই আর স্কুলে ঢুকতে পারবেন না। স্কুলের কোনও জিনিসে তাঁরা হাত দিতে পারবেন না। শুক্রবার থেকে তাঁদের বেতনও বন্ধ হয়ে যায়। বেতন ফেরতের বিষয় নিয়ে পরে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে। বাতিল হওয়া প্রার্থীদের বদলে নতুন নিয়োগ করবে এসএসসি। দ্রুতই ইন্টারভিউ শুরু হবে। তবে যাদের ওএমআর শিটে কারচুপি রয়েছে তাদের ডাকা হবে না।
আগামী ১৬ মার্চের মধ্যে গ্রুপ সি-তে চাকরি পাওয়া সব ব্যক্তির নিয়োগপত্র স্কুল সার্ভিস কমিশনকে পাঠাবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ২৭ মার্চের মধ্যে তা খতিয়ে দেখবে কমিশন। ২৯ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি। এই শূন্যপদে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ওয়েটিং লিস্ট থেকে নিয়োগের নির্দেশও দেন বিচারপতি। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে চাকরিহারারারা। এমন পরিস্থিতিতে হাই কোর্টের নির্দেশেই নম্বরে গরমিলের তালিকা সামনে আনল এসএসসি।