সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগুনে পুড়েছে সর্বস্ব। চারিদিকে ধ্বংসস্তূপ। ছাইয়ের গাদায় হাতড়াছেন দুই মহিলা। যদি কিছু পাওয়া যায়! চারিদিকে পোড়া গন্ধ। বাতাস ভারি হয়েছে কান্নার শব্দে। সবকিছু হারিয়ে হাহাকার বাসিন্দাদের। ঘরের সঙ্গে পুড়ে ছাই হয়েছে স্বপ্নও। ভিটে-মাটি হারিয়ে শীতে রাত কেটেছে বাইরে। দুচোখের পাতা এক করতে পারেননি তাঁরা।
তপসিয়ার পর নিউ আলিপুরের বসতিতে আগুন লাগে শনিবার সন্ধ্যায়। মুহূর্তে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বাড়িগুলি। উদ্ধারকার্যে নামে দমকল ও সেনাবাহিনী। প্রায় দুঘণ্টা পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই ঠিকই। কিন্তু ঘরের সঙ্গে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বাসিন্দাদের অনেকের স্বপ্ন। আগুন লাগার পর এক কাপড়েই বেরিয়ে গিয়েছিলেন সবাই। জমানো টাকা, আধার, ভোটার কার্ড দরকারি কাগজপত্র থেকে মজুত করে রাখা চাল, ডাল, খাবার গিলে নিয়েছে আগুনের শিখা।
বসতিতে ঝুপড়ি ছিল অন্তঃসত্ত্বা মোহিনী দাসের। চলতি মাসেই পৃথিবীর আলো দেখতে পারে তাঁর সন্তান। আগুন লাগার পর কোনও মতে পালিয়ে বেঁচেছেন তিনি। মোহিনীর কথায়, "আগুন সব কিছু কেড়ে নিয়েছে। আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে চিকিৎসক ভর্তি হওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু সব কিছু পুড়ে গেল। কী করে হাসপাতালে ভর্তি হব সেই চিন্তা করছি।" আরও এক বাসিন্দা বলেন, "অন্যের বাড়িতে কাজ করে কিছু টাকা জমিয়েছিলাম। ঘরের সঙ্গে সেই টাকাও গেল। জামাকাপড়ও কিছু বার করতে পারিনি। সব শেষ হয়ে গেল।" আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে যান অরূপ বিশ্বাস, মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। একটি স্কুলে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। শহরের বিভিন্ন ঝুপড়িতে পরপর আগুন লাগা নিয়ে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা প্রকাশ করেন খোদ মেয়র।