স্টাফ রিপোর্টার: যত দোষ 'নন্দ ঘোষ' থুড়ি সন্দীপ ঘোষ! ২০২২ সালের জুলাই অথবা আগস্ট। আর জি কর হাসপাতালে স্যালাইনের তীব্র আকাল। স্যালাইন সংকট এতটাই তীব্র যে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস থেকে সাগর দত্ত থেকে স্যালাইন জোগাড় করে রোগী পরিষেবা বজায় রাখতে হয়েছে। পরে অবশ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের হস্তক্ষেপে সমস্যা মিটে যায়।
প্রশ্ন ওঠে, এমনটা কেন হল? সেই সময় কেউ রা কাড়েননি। অভিযোগ, যে সংস্থা স্যালাইন (SalineWater) সরবরাহ করত, তাদের বিপুল অর্থ বকেয়া ছিল। বেশ কয়েকবার তা মেটানোর জন্য চাপ দিয়েও বকেয়া মেলেনি। আর তাই তারা স্যালাইন সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু কেন? অর্থ দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ওষুধ (Medicine)কেনার ক্ষমতা থাকে হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজের। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক অফিসারের অভিযোগ, ধাপে ধাপে টাকা মিটিয়ে দিলেই এমন অস্বস্তিকর অবস্থা হত না। কিন্তু আর জি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) ফিনান্স থেকে কোনও পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি। কেন? গত কয়েকদিনে এই নিয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করেনি।
[আরও পড়ুন: ‘অবিলম্বে কড়া আইন আনুন’, RG Kar কাণ্ডে মোদিকে চিঠি পদ্ম পুরস্কারপ্রাপ্ত ৭০ চিকিৎসকের]
আসলে হাসপাতাল বা কলেজের অর্থ খরচ হত অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের অঙ্গুলিহেলনে। এর মধ্যেই ওয়েস্ট বেঙ্গল অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতি জারি করে বলেছে, আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁর সদস্যপদ রদ করা হচ্ছে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নিজের অবস্থান জানাতে হবে ডা. সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh)। গত বছর যক্ষ্মা (T.B) পরীক্ষার কিটের গুণগত মান নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছিল। যদিও সেই ঘটনায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও অভিযোগ নেই। কিন্তু তাঁর উপর যে চাপ ছিল, তা এখন অনেকেই আড়ালে আবডালে মেনে নিয়েছেন।