সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর বিতর্কে 'ক্ষুব্ধ' রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা অপসারিত দলীয় মুখপাত্র শান্তনু সেন। একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তিনি। ঘটনাপ্রবাহের মাঝেই দলীয় মুখপাত্র পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন শান্তনু। এমনকী, কলকাতা পুরসভা থেকেও তাঁর নামের ফলক খুলে ফেলা হয়। এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে বিশেষ বার্তা দিলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর অনুরোধ, তৃণমূলের সৈনিকের ক্ষেত্রে পরিপন্থী কোনও মন্তব্য় করবেন না। কোনও অবস্থান নেবেন না।
শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে রাজনৈতিক সহকর্মী শান্তনুর ভূয়সী প্রশংসা করেন কুণাল। বলেন, "শান্তনু সেন রাজনৈতিক সহকর্মী। দক্ষ সৈনিক হিসেবে কাজ করতে দেখেছি। ত্রিপুরাতেও দেখেছি, উনি লড়াকু সৈনিক। দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হলে তা অবাঞ্ছিত।" আর জি কর বিতর্কে শান্তনুর মন্তব্য নিয়ে কুণালের মত, "হাসপাতাল সংক্রান্ত ওঁর আপত্তি, বিরুদ্ধ মত ছিল। ডাঃ সেনকে অনুরোধ করব, এমন কিছু বলবেন না, অবস্থান নেবেন না, যেটা তৃণমূলের সৈনিকের ক্ষেত্রে পরিপন্থী হয়।" তবে শান্তনুর অপসারণ নিয়ে কিছু বলতে চাননি তিনি। 'দলের বিষয়' বলে দাবি করেছেন।
[আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি! ফের কর্মবিরতির পথে আলু ব্যবসায়ীরা, জোগানে সংকটের আশঙ্কা]
শুধু শান্তনু সেন নয়, তাঁর চিকিৎসক স্ত্রীকেও অনুরোধ করেছেন কুণাল। বলেন, "ডাঃ কাকলি সেনকেও অনুরোধ করব। প্রকাশ্যে আরও কিছু বলার আগে গোটা বক্তব্য মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকেই লিখিতভাবে জানান।"
কর্তব্যরত অবস্থায় আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পরই তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ ডাক্তার শান্তনু সেনকে (Santanu Sen) পদ থেকে সরানো নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। তিনি দলের মুখপাত্রের পাশাপাশি আর জি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ছিলেন। ঘটনার পর থেকে শান্তনুকে মুখপাত্রের পদ থেকে সরানো হয় বলে জানিয়েছিলেন দলেরই আরেক নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। এবার কলকাতা পুরসভায় তাঁর নিজস্ব চেম্বার থেকে খুলে ফেলা হল নামফলক! তবে কি গোড়া থেকে আর জি করের (RG Kar Hospital) ঘটনায় প্রতিবাদের সুর চড়ানোয় তাঁকে ‘কোপে’ পড়তে হল? এই প্রশ্ন মাথাচারা দিয়েছে। এর মধ্যেই কুণাল ঘোষের এই বার্তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।