shono
Advertisement

Breaking News

SIR in Bengal

রাজ্যে ২৬ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ! SIR ম্যাচিংয়ে মিলছে না হদিশ, আরও বাড়তে পারে সংখ্যা

এসআইআর পর্ব সুষ্ঠুভাবে শেষ করার জন্য রাজ্যে আসছেন আরও ৩ আধিকারিক।
Published By: Subhajit MandalPosted: 08:58 AM Nov 27, 2025Updated: 01:00 PM Nov 27, 2025

স্টাফ রিপোর্টার: এসআইআরে (SIR in Bengal) বহু ভোটারের নাম বাদ যাওয়ার আশঙ্কা ছড়িয়েছিল। সেই আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ম্যাচিং হওয়া ৬ কোটি ভোটারের মধ্যে প্রায় ২৬ লক্ষ ভোটারের হদিশ মিলছে না বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। জমা পড়া এমুনারেশন ফর্মের ম্যাচিং যত এগোবে, এই সংখ্যা তত বাড়বে বলে জানাচ্ছেন কমিশনের এক কর্তা। একই সঙ্গে ম্যাচিংয়ের সময় অনলাইনে নাম না মিললে ছাপানো ভোটার তালিকার সাহায্যও নেওয়া যাবে বলে নতুন নির্দেশিকায় জানিয়েছে কমিশন।

Advertisement

এদিন দিল্লি থেকে তিন জন আধিকারিককে এসআইআর (SIR in Bengal) পর্ব সুষ্ঠুভাবে শেষ করার জন্য রাজ্যে পাঠানোর কথা জানিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এঁরা হলেন প্রধান সচিব বি সি পাত্র, সচিব সৌম্যজিৎ ঘোষ এবং অবর সচিব বিবর আগরওয়াল। এঁরা তিনজনই কাজ করবেন রাজ্যের সিইও মনোজ আগরওয়ালের অধীনে। অন্যদিকে সোমবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির অবস্থানে বসে পড়া ও তা নিয়ে তৈরি হওয়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতি প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে বুধবার চিঠি দিয়েছেন কমিশনের সচিব সুজিতকুমার মিশ্র। চিঠিতে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পুলিশের 'অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট' পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এসবের মধ্যেই এদিনও কাজের চাপে মোট তিন বিএলও অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন হয়েছেন। নামখানার এক বিডিও অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে পিজি হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করতে তৎপর হন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এক বিএলও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। সুশান্ত শিকদার নামে বনগাঁ-উত্তর কেন্দ্রের ওই বিএলও-র পরিবারের অভিযোগ, ৫৭বছর বয়সি ওই স্কুল শিক্ষকের সুগার ও রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। বিএলওর কাজে নামার পর থেকে অতিরিক্ত টেনশন করছিলেন বলে জানিয়েছেন স্ত্রী সুমিতা ঠিকাদার। তিনি বলেন, টেনশনে সুশান্তবাবু। সোমবার তিনি হঠাৎই অসুস্থ রাতে ঠিকঠাক ঘুমাতে পারতেন না হয়ে পড়লে তাঁকে প্রথমে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল ও পরে কল্যাণী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায় অসুস্থতার জন্য দায়িত্ব পূরণ না করতে পারায় ফরিদা খাতুন নামে এক বিএলওকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, মোট ৮১২টি ফর্ম বিলি করার পর ৪৫০টি ফর্ম সংগ্রহও করেন তিনি। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়ায় আর কোনও ফর্ম সংগ্রহ করেননি। ডিজিটাইজেশনও করা হয়নি বেশ কিছু ফর্ম। সে কারণেই ওই বিএলওকে শোকজ করা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • এসআইআরে বহু ভোটারের নাম বাদ যাওয়ার আশঙ্কা ছড়িয়েছিল।
  • সেই আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ম্যাচিং হওয়া ৬ কোটি ভোটারের মধ্যে প্রায় ২৬ লক্ষ ভোটারের হদিশ মিলছে না বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।
  • জমা পড়া এমুনারেশন ফর্মের ম্যাচিং যত এগোবে, এই সংখ্যা তত বাড়বে বলে জানাচ্ছেন কমিশনের এক কর্তা।
Advertisement