স্টাফ রিপোর্টার: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করল রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন। পরীক্ষা হয়েছিল গত ৭ সেপ্টেম্বর। পরীক্ষা গ্রহণের ৭১ দিনের মাথায় এই ফলপ্রকাশ। westbengalssc.com, wbsschelpdesk.com ওয়েবসাইটে গিয়ে মিলছে ফল। নিজেদের রোল নাম্বার দিয়ে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
চলতি মাসের শুরুতেই প্রকাশ হয়েছে একাদশ-দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগের ফল। সেখানে ইন্টারভিউতে ডাক না পেয়ে অনেকেই এই ফলের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ফলাফল বা ‘আনসার কি’ নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে দেখা নিয়ে সমস্যা তৈরি হলেও কিছুক্ষণেই তা মিটে যায়। কয়েক লক্ষ মানুষ একসঙ্গে ওয়েবসাইট খুলে ফল দেখার চেষ্টা করছেন বলে এই সমস্যা হচ্ছে বলে প্রাথমিক খবর। তবে রাত ৮টার পর থেকে ফল দেখতে কোনও সমস্যা হয়নি। প্রাথমিক ইন্টারভিউ লিস্ট ও ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত শিডিউল দ্রুত জানিয়ে দেবে কমিশন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সমাজমাধ্যমে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়ে লেখেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিক নির্দেশনায় এবং রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সময়মতো ফল প্রকাশ করায় কমিশনকে সাধুবাদ। চাকরিপ্রার্থীদের কাছে আবেদন সবকিছু স্বচ্ছতা ও নিয়ম মেনে হবে। ভরসা রাখুন।’’
উল্লেখ্য, এবার মোট ১১টি বিষয়ের উপর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। এজন্য শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ২৩,২১২টি। যদিও পরে সেই আসন বাড়বে বলে জানা গিয়েছে। কমিশন আগেই জানিয়েছিল, যেহেতু একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শূন্যপদের আসনের সংখ্যা কম, তাই আগে সেখানে ভেরিফিকেশন শেষ করা হবে। সেই মতোই ৪ ডিসেম্বর একাদশ ও দ্বাদশের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ হলে তারপর নবম-দশমের নিয়োগের জন্য ভেরিফিকেশন শুরু হবে। শূন্যপদের জন্য আসনসংখ্যা বৃদ্ধি করা হলে সেই বিষয়টিও ইন্টারভিউ এবং নথি যাচাই প্রক্রিয়ার আগে জানিয়ে দেওয়া হবে। এদিকে, ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকা হিসাবে আন্দোলনকারী অনেকেই একাদশ-দ্বাদশের মতো নবম-দশমের তালিকাতেও নাম তুলতে পারেননি বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, লিখিত পরীক্ষায় একাদশ-দ্বাদশে বহুজনই ৬০-এর মধ্যে ৬০ কিংবা ৫৯ পেয়েছেন। তবু তাঁদের ইন্টারভিউর ডাক আসেনি। অভিযোগ, অভিজ্ঞতা বোনাস ১০ নম্বর যোগ হওয়ায় নতুন পরীক্ষার্থীদের অনেকেই পিছিয়ে গিয়েছেন।
