গোবিন্দ রায়: এবার জিটিএ নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুকে সরানোর আর্জি রাজ্যের। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে এসংক্রান্ত আবেদন জানানো হয়েছে। যদিও এর আগে নিজেই এই মামলা থেকে সরতে চেয়েছিলেন বিচারপতি বসু।

ঘটনার সূত্রপাত ফেব্রুয়ারিতে। জিটিএ নিয়োগ দুর্নীতির শুনানি চলাকালীন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের বক্তব্য ছিল, এই মামলা শোনার এক্তিয়ার হাই কোর্টের নেই। এই মামলা শোনার এক্তিয়ার জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের। এর পালটা আবেদনকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, আদালতকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি বসুর এজলাসেই। পরবর্তীকালে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের এজলাসে এই মামলা উঠলে তিনি রেজিস্ট্রার মারফৎ সমস্ত মামলার শুনানি পাঠিয়ে দেন মূল বেঞ্চ অর্থাৎ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। তাই এই মামলা শোনার এক্তিয়ার এই এজলাসের রয়েছে।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল যে প্রশ্ন তোলেন তাতেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি স্পষ্ট জানান, যেহেতু অ্যাডভোকেট জেনারেল তাঁর এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাই এই মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি নিচ্ছেন। যদিও পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে মামলায় ফেরেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এবার বিশ্বজিৎ বসুকে মামলা থেকে সরানোর আর্জি নিয়ে হাই কোর্টে রাজ্য। উল্লেখ্য, এই দুর্নীতির ঘটনায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ছাত্রনেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। কিন্তু তাঁদের কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না? এই প্রশ্ন নিয়ে রাজ্যকে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল।