shono
Advertisement

Breaking News

শুধু পেট নয়, ব্রিগেডের মন ভরাতেও সেই ‘ডিম্ভাতে’ই আস্থা তৃণমূলের

রাজনৈতিক দলগুলির সভায় কেন 'হটকেক' 'ডিম্ভাত'?
Posted: 02:26 PM Mar 09, 2024Updated: 03:32 PM Mar 09, 2024

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: তৃণমূলের ব্রিগেডে আবারও ভরসা ডিম-ভাত। তবে ১০ মার্চ ‘জনগর্জন’ সভার মেনুতে নতুন সংযোজন ডাল ও সবজি। দূরের জেলাগুলি থেকে সভায় যোগ দিতে যারা এসেছেন, ইকো পার্ক, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, নেতাজি ইন্ডোর, উত্তীর্ণ-তে থাকছেন, তাঁদের তিনবেলা পেট ভরে ‘ডিম্ভাত’ খাওয়ানো হচ্ছে। আর হাজার-হাজার কর্মী-সমর্থকদের রসদের জোগার দিতে প্রতিদিন প্রচুর ডিমের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে জোড়াফুল শিবিরকে। দলীয় সূত্রে খবর, প্রতিদিন দুলক্ষের বেশি ডিমের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে রয়েছেন মালদা, মুর্শিদাবাদ থেকে আসা ৩০ হাজার তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। ৪-৫ দিন আগে থেকেই এখানে লোকজন ভিড় জমাতে শুরু করেছে। এই ভেনুর দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। তাঁদের তিন বেলার খাবার আয়োজন করা হয়েছে। তবে তিনবেলার মেনুই এক। ডাল, ভাত, সবজি ভাজা, ডিমের ঝোল। আবার বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া থেকে আসা তৃণমূল নেতাকর্মীরা থাকছেন নেতাজি ইন্ডোরে। সেখানে সবমিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার লোকজন জড়ো হয়েছেন। এখানেও মেনু একই। অরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে ক্যাটারিং, ডিম, চাল সরবরাহ-সহ অন্যান্য দায়িত্বে রয়েছেন বিজয় উপাধ্যায়, সঞ্জয় বক্সি, শান্তি কুন্ডু, সৌম্য বক্সি, শক্তিপ্রতাপ সিং। ইকো পার্কে থাকছে উত্তরবঙ্গের সব জেলা (মালদা, মুর্শিদাবাদ ছাড়া), উত্তর ২৪ পরগনার একটা অংশ থেকে আসা কর্মীরা। এই ক্যাম্পই সব থেকে বড়। দায়িত্বে রয়েছেন সুজিত বসু, দেবরাজ চক্রবর্তী। কমবেশি ৫০ হাজার লোকের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। ৩ বেলার খাবার মেনু বাকি ক্যাম্পগুলির মতোই।

[আরও পড়ুন: কমলের কেন্দ্রেই কংগ্রেসের রক্তক্ষরণ! ‘হাত’ ছেড়ে পদ্মে ৭ কাউন্সিলর]

রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে সব স্টেডিয়াম বা নির্দিষ্ট ক্যাম্পেই। প্রত্যেকবার আলাদা করে রান্না করা হচ্ছে। ডিম দফায়-দফায় আসছে। প্রত্যেকদিন কম করে দুলক্ষ ডিমের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সঙ্গে সবজি ও ডালেরও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কিন্তু এতো ধরনের পদ থাকতে রাজনৈতিক দলগুলির সভায় কেন ‘হটকেক’ ‘ডিম্ভাত’?

. সস্তায় পুষ্টিকর, খরচ বাঁচানোটাই ডিম ভাতকে মেনু হিসেবে বেছে নেওয়ার একমাত্র কারণ নয়। অত মানুষকে বিরিয়ানি কিংবা চিকেন খাওয়ানোটা সত্যিই খরচ সাপেক্ষ। 

২. ডিম রান্নায় ঝামেলা একেবারেই নেই। বাজার থেকে ডিম এনে সেদ্ধ করে ছাড়িয়ে দিলেই হল ।

৩. ডিম খেলে সভাস্থল নোংরা কম হবে। 

৪. ডিমের আরেকটা সুবিধা হল, যদি কমও পড়ে সমস্যা নেই। বাজার থেকে এনে ঝটপট সিদ্ধ করে খাইয়ে দেওয়া যেতে পারে। 

৫. ডিম-ভাতের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, শুধু ডিম গুণেই বলে দেওয়া যায় সভায় কত লোক হয়েছে। যে কোনও রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেই উপস্থিতির পরিমাণটা আন্দাজ করা খুব জরুরি।

[আরও পড়ুন: মোদির হিন্দুত্ব মোকাবিলায় জাতগণনা-কৃষক ক্ষোভ, কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় কোন ইঙ্গিত?]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement