সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাতভাণ্ডারী কাণ্ডে বিএসএফের (BSF) বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। বিধানসভা থেকে করা সাংবাদিক বৈঠকে ধিক্কার জানালেন তিনি। বললেন, “কেন্দ্র অবিলম্বে বিএসএফকে নিয়ন্ত্রণ করুক। নাহলে যে কোনও সময় ভয়ংকর ঘটনা ঘটবে।”
শুক্রবার ভোররাতে কোচবিহারের (Cooch Behar) সাতভাণ্ডারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয় ৩ জনের। বিএসএফের তরফে জানানো হয়, এদিন ভোররাতে কোচবিহারের সিতাই (Sitai) থানা এলাকার অন্তর্গত সাতভাণ্ডারী সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের (Cattle smuggling) চেষ্টা করছিলেন কয়েকজন। এক ভারতীয় নাগরিক গরু পৌঁছে দিচ্ছিলেন কাঁটাতারের বেড়া পর্যন্ত। বিষয়টি নজরে পড়তেই বাধা দেন ওই সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানরা। অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে গরু পাচারকারীরা। তার ফলে বাধ্য হয়ে পালটা গুলি চালায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সেই গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। তাঁদের মধ্যে একজন ভারতীয়। তাঁর নাম প্রকাশ বর্মণ।
[আরও পড়ুন: কোচবিহারের সাতভাণ্ডারী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ৩ গরু পাচারকারীর মৃত্যু, তীব্র উত্তেজনা]
এই ঘটনায় বিএসএফের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করলেন দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। তিনি বলেন, “ছোট থেকেই বিএসএফের অত্যাচার দেখে আসছি। ওরা বরাবর সীমান্ত এলাকার মানুষদের উপর নির্যাতন করে।” উদয়ন গুহর দাবি, বিএসএফের মদতেই সীমান্তে চোরাচালান চলে। তাঁর অভিযোগ, ভাগাভাগি নিয়ে সমস্যা হওয়ার কারণেই মাঝে মধ্যে গুলি চালায় জওয়ানরা। এরপরই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্নও তোলেন তিনি। বলেন, “কোনও পরিস্থিতিতেই হত্যা করতে পারে না বিএসএফ। “
উল্লেখ্য, রাজ্যে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নজরদারির পরিসর বাড়ছে। ১৫ কিলোমিটারের বদলে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভিতরে ঢুকে প্রয়োজনে গ্রেপ্তারও করতে পারবে বিএসএফ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল বিএসএফের আওতাধীন এলাকা ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যের স্পষ্ট আপত্তি রয়েছে। বুধবার বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানোর বিরোধিতায় বিধানসভায় প্রস্তাব আনবে শাসকদল।