shono
Advertisement
Kolkata

শহরে ফের রহস্যমৃত্যু, ৫ লক্ষ টাকা দেনার দায়ে আত্মঘাতী কাকা-ভাইপো?

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁদের ৫ লক্ষ টাকা দেনা ছিল।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 10:48 PM Jul 04, 2025Updated: 11:12 PM Jul 04, 2025

অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: শহর কলকাতায় ফের রহস্যমৃত্যু। শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তর কলকাতার আর্মহার্স্ট স্ট্রিট থানা এলাকার এক বাড়িতে ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে জোড়া মৃতদেহ। পটলডাঙা স্ট্রিটের এই ঘটনায় পুলিশ দরজা ভেঙে ঘর থেকে দেহ দুটি উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, মৃতরা সম্পর্কে কাকা ও ভাইপো। তাঁদের প্রচুর দেনা ছিল। তা মেটাতে না পেরে দু'জন আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে তা আত্মহত্যা নাকি কেউ ঘরে ঢুকে তঁদের খুন করল, ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই তা বোঝা যাবে।

Advertisement

৪৫, পটলডাঙা স্ট্রিটের এই বাড়িতে থাকতেন বছর সত্তরের মৃণাল বসু ও তাঁর ভাইপো ৫১ বছরের নীলাঞ্জন বসু। শুক্রবার দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁদের দেখতে পাননি প্রতিবেশীরা। বাড়ি থেকেও কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিকে, আত্মীয়রাও ফোন করে কাউকে পাননি। তাতেই সকলের সন্দেহ হয়। তাঁরা বাড়িতে এসে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু দরজা বন্ধ পেয়ে আর্মহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে দেখে, ঘরের ভিতর পড়ে রয়েছেন দু'জন। মৃণাল ও নীলাঞ্জনকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

জানা গিয়েছে, নীলাঞ্জন বসু পুরসভায় কাজ করতেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, কাকা-ভাইপোর মাথার উপর প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা দেনা ছিল। ফেরত দিতে পারছিলেন না। পাওনাদারের চাপও ছিল। যদিও দেনার জন্যই দু'জন আত্মঘাতী হয়েছেন কিনা, তা নিয়ে পুলিশের সন্দেহ রয়েছে। পরিবারে আর্থিক অভাব ছিল কি না, পুলিশ তাও খতিয়ে দেখছে। দু'জনের মোবাইল খতিয়ে দেখে এবং পরিজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কাকা-ভাইপোর আত্মঘাতী হওয়ার কারণ জানার করছেন তদন্তকারীরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • খাস উত্তর কলকাতার বাড়ি থেকে উদ্ধার কাকা-ভাইপোর দেহ।
  • ৫ লক্ষ টাকা দেনা ছিল তাঁদের, ছিল পাওনাদারদের চাপ।
  • সেই কারণে তাঁরা বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হলেন কি না, খতিয়ে দেখছে আর্মহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ।
Advertisement