গোবিন্দ রায়: শিক্ষক পদমর্যাদা দেওয়া হলেও একজন অশিক্ষক কর্মীর (গ্রুপ ডি – গ্রুপ সি) থেকেও ভোকেশনাল টিচার অর্থাৎ পেশাগত শিক্ষার শিক্ষকরা কীভাবে কম বেতন পেতে পারেন, এই প্রশ্নে রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করল হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই বেতন বৈষম্য নিয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
এর আগেও গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি দের থেকেও বেতন কাঠামো কম থাকার অভিযোগে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পার্শ্ব-শিক্ষকরা। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে এই এজলাসে। এবার ফের একই আবেদনে মামলা করেছেন অভিজিত মল্লিক, অতীত সেন, প্রণব কুমার ঘোষ সহ বেশ কয়েকজন ভোকেশনাল টিচার।
[আরও পড়ুন: উদ্বোধনের বাকি দেড় মাস, প্রকাশ্যে অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহের ছবি]
তাঁদের আইনজীবী সুদীপ ঘোষ চৌধুরী জানান, “রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে পার্ট টাইমার হিসেবে, পার্ট টাইমার শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। যে সকল ভোকেশনাল টিচার বছরে ৪০০ এর দিকে অধিক ক্লাস নেন তাদের মান্থলি ১০ হাজার টাকা রেমোনেশন দেয়া হয় আর যে সকল ভোকেশনাল টিচার ৪০০-এর নিচে ক্লাস নেন তাদের ৮০০০ টাকা মান্থলি দেয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ‘সোনিয়াকে প্রণাম, খাড়গেকে নয়! দলিত বলেই?’ তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা বিজেপির]
এছাড়াও কোন স্কুলে তাদের চুক্তি শেষ হয়ে গেলে তাদের বেতন বন্ধ হয়ে যায়। যতদিন না তারা নতুন স্কুলে যোগদান করছেন। অথচ বর্তমানে গ্রুপ ডি সরকারি কর্মচারী ২২ হাজার টাকা মাইনে পায়। অথচ ভোকেশনাল শিক্ষকরা শিক্ষকতা করলেও গ্রুপ ডি সরকারি কর্মীদের থেকেও কম মাইনে পান। এই সকল বৈষম্য নিয়ে ভোকেশনাল টিচাররা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাদের মান্থলি অনরিয়াম বৃদ্ধি করার জন্য।