সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: ‘লাও তো বটে আনে কে?’ চিন, আফ্রিকা-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার নতুন অবতার দাঁত-নখ বের করায় বুস্টার ডোজে (Booster Dose) গুরুত্ব দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কিন্তু ঘটনা হল রাজ্যের মাত্র ২৫ শতাংশ নাগরিক বুস্টার ডোজ পেয়েছে। তার থেকেও বড় ঘটনা হল, বাগবাজার সেন্ট্রাল স্টোরে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের ভাঁড়ার তলানিতে। আরও বিশদে বললে, কোভিশিল্ডের ভাঁড়ার শূন্য। এদিকে, করোনার নয়া স্ট্রেনে সংক্রমণ নিয়ে তেমন চিন্তিত নয় রাজ্য প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) নিজেই জানিয়েছেন, কোভিডের মাঝেও বিগত বছরগুলিতে সাবধানতা অবলম্বন করে গঙ্গাসাগর মেলা হয়েছিল, এবারও হবে। বড়দিনের উৎসবও হবে।
চিনের সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতি নতুন করে মহামারী নিয়ে বুকে কাঁপন ধরিয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রও যথেষ্ট সতর্ক। বুস্টার ডোজ, মাস্ক ব্যবহারে ফের জোর দেওয়া হচ্ছে। আর সেখানেই চিন্তা। বাংলার বুস্টার ডোজের জোগানই নেই সেভাবে। স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য বলছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাগবাজার সেন্ট্রাল স্টোরে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের একটি ভায়ালও নেই। কোভ্যাক্সিন ২০ ডোজের ভায়াল রয়েছে ৩৪ হাজার ৮৮০টি। আর কোভ্যাক্সিনের ১০ ডোজের ভায়াল রয়েছে ১১ হাজার ৯০টি। আর এইসব ভ্যাকসিনের (Corona vaccine) আয়ু ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তারপরে আর এইসব ভ্যাকসিন কোনও কাজে লাগবে না।
[আরও পড়ুন: অন্য মামলায় পুলিশ হেফাজতে, গরুপাচার কাণ্ডে আসানসোল আদালতে পেশই করা হল না অনুব্রতকে]
এটা যেমন একটা দিক, তেমনই রাজ্যে প্রায় সাড়ে সাত কোটি প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকের মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৯৬ শতাংশ। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৮৪ শতাংশ। এত বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিলেও করোনার বুস্টার ডোজ নিতে কিন্তু তেমন উৎসাহ দেখা যায়নি। কারন হিসাবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অভিমত, চতুর্থ ঢেউয়ের সংক্রমন ক্ষমতা যেমন কম ছিল, মৃত্যু ও অসুস্থ হওয়ার সংখ্যাও কম ছিল। এমনকি আইসিএমআর (ICMR) এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, কোভিড পজিটিভ হওয়ার ৩-৫ দিন পর সুস্থ বলে ধরে নেওয়া হবে। এবং সেই ব্যাক্তি পাঁচজনের সঙ্গে অবাধে মিশতে পারবেন। ক্রমশ মাস্কের (Mask) ব্যবহারও কমতে শুরু করে। ফলে ফের কোভিড ভারতে জাল বিস্তার করতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
[আরও পড়ুন: ফের বাধ্যতামূলক হতে পারে মাস্ক পরা! সংসদে ইঙ্গিত কেন্দ্রের, বুস্টার ডোজে জোর]
রাজ্যে কোভিড (COVID-19) ভ্যাকসিনের নোডাল অফিসার ডাক্তার অসীম দাস মালাকারের কথায়, ‘‘সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ১২৫টি কেন্দ্র এখনও টিকাকরন চলছে। কিন্তু মানুষ যদি টিকা না নিতে চায় তবে কী করা যাবে?’’ নতুন করে ভ্যাকিসন চাওয়া হবে কী না, এই প্রশ্নের উত্তরে অসীমবাবু জানান, ‘‘গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। কেন্দ্র যদি চায় বুস্টার ডোজ চালু করতে হবে। তবে ভ্যাকসিন পাঠাতে হবে। রাজ্যে পরিকাঠামো তৈরি।’’