নব্য়েন্দু হাজরা: অ্য়াডিনো (Adenovirus) ও ইনফ্লুয়েঞ্জার H3N2 ভাইরাস নিয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র। সেদিনই অ্যাডিনো সংক্রমণ ও ইনফ্লুয়েঞ্জার গতিবিধির দিকে নজর রাখতে ৮ সদস্যের টাস্ক ফোর্স গড়ল রাজ্য় সরকার। যদিও রাজ্য় সরকারের দাবি, অ্যাডিনোর দাপট নিম্নগামী। কমেছে ‘রেফার রোগ’ও। তবু সতর্ক নবান্ন।
শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন মুখ্যসচিব হরিকষ্ণ দ্বিবেদী।
মুখ্যসচিব এদিন জানান, আগে দিনে ৮০০-৯০০ জন অ্যাডিনো সংক্রমিত হচ্ছিল। বর্তমানে সেই সংখ্যা কমেছে অনেকটা। এখন দিনে ৫৫০-৬০০ টি অ্য়াডিনো সংক্রমণের খবর আসছে। শুধু শিশুরা নয়, অ্যাডিনো ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে বড়রাও। সতর্ক রয়েছে রাজ্য়ও। তাদের নজরদারিতে কমেছে রেফার করার সংখ্যাও। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অ্যাডিনোয় মৃত্যুর হারও নিম্নমুখী। রাজ্যের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অ্য়াডিনোর প্রকোপে রাজ্যে ১৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ১৩ জনের কো-মর্বিডিটি ছিল। বাকি ৬ জনের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ফিল্ম ফেয়ারে সেরা মিঠুন চক্রবর্তী, নজর কাড়ল ‘দোস্তজী’, ‘বল্লভপুরের রূপকথা’, দেখে নিন পুরো তালিকা]
অ্য়াডিনোর সংক্রমণ ও ইনফ্লুয়েঞ্জার H3N2 ভাইরাসের গতিবিধির দিকে নজর রাখতে ৮ সদস্যের টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছে নবান্ন। সেই টিমের মাথায় রয়েছেন মুখ্যসচিব। টাস্কফোর্সের বাকি সদস্যরা হলেন মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরে প্রধান সচিব, নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের প্রধান সচিব, স্বাস্থ্যদপ্তর ও স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা এবং দুই বিশিষ্ট চিকিৎসক- ডা. সুকুমার মুখোপাধ্যায় ও ডা. গোপালকৃষ্ণ ঢালি। তাঁরা সংক্রমণের দৈনিক গতিবিধির দিকে লক্ষ্য রাখবেন। প্রতিদিন সন্ধে ছ’টায় বৈঠক করবেন তারা।