সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টে তিরস্কৃত তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল। শীর্ষ আদালত সাফ বলে দিচ্ছে, রাজভবনে এভাবে বিল আটকে রাখতে পারেন না রাজ্যপাল। সেই সুপ্রিম পর্যবেক্ষণকে হাতিয়ার করে এবার বাংলায় রাজ্যপালের উপর চাপ বাড়াল শাসকদল। খোদ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে মনে করালেন, রাজ্যের অন্তত ২৩টি বিল রাজভবনে অনুমোদনের অপেক্ষায়।

সুপ্রিম পর্যবেক্ষণের পর মঙ্গলবার স্পিকার মনে করিয়ে দেন, ২০১৬ সাল থেকে ২০২৫ সালের এখনও পর্যন্ত ২৩টি বিল রাজভবনে আটকে রয়েছে। যদি বিলে কোনও ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকেই থাকে, সে ক্ষেত্রে রাজ্যের অ্যাডভোকট জেনারেলের পরামর্শ তিনি নিতে পারেন। রাজ্যপালের এ দিকে একটু নজর দেওয়া উচিত। বিমানবাবু বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণকে মাথায় রেখে এ রাজ্যের রাজ্যপালেরও উচিত, তাঁর কাছে পড়ে থাকা বিলগুলি ফেরত পাঠানো।" স্পিকারের বক্তব্য, রাজ্যপালরা নিয়ম মেনে কাজ করলে সব রাজ্যেরই সুবিধা হবে।
রাজভবনে যে বিলগুলি আটকে রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, গণপিটুনি সংক্রান্ত বিল, হাওড়া ও বালি পুরসভাকে একত্রিত করা সংক্রান্ত বিল, মুখ্যমন্ত্রীকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা সংক্রান্ত আটটি বিল। এছাড়াও আটকে রয়েছে উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত সার্চ কমিটি নিয়ে বিল। কেন ওই বিলগুলিতে সম্মতি দিচ্ছেন না, তা তাঁর কাছেও স্পষ্ট নয় বলে বিমান জানিয়েছেন। রাজ্য বিধানসভার স্পিকারের প্রস্তাব, বিধানসভায় বিল পাশের পরে তিন বা ছ’মাসের মধ্যে রাজ্যপালের সম্মতি না পেলে তা ‘আইন’ হিসাবে গণ্য করা হোক।
রাজভবনের তরফে বলা হচ্ছে, ২৩টির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত সাতটি বিল আদালতের বিচারাধীন। দুটি বিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। একটি বিল বেশ কিছু শর্ত-সহ রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিয়েছেন। বাকি ১২টি বিলের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কাছে কিছু ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।